বর্তমান সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় মুরাদ হাসান। সমালোচনার ঝড় যখন তীব্র ঠিক তখনই তার পদত্যাগের খবরটা শুনতে পেল মানুষ। এইকয়দিন বিভিন্ন গণমাধ্যমে তার পদত্যাগ চেয়ে দাবি করা হয়। দীর্ঘ প্রতিক্ষা শেষে তার পদত্যাগ নির্দেশের খবরটার যেন আনন্দ ছড়িয়ে দিয়েছে চারিদিকে। এমনকি আনন্দ করছে তার নিজ এলাকার লোকজনও।
জামালপুর: নানা সমালোচনা এবং সর্বশেষ ফোনালাপকাণ্ডের পর তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমন খবরে তার নির্বাচনী এলাকা জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে আওয়ামী লীগ।
সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রাতেই তারাকান্দি শহিদ মিনার চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলামের কর্মী-সমর্থকরা আনন্দ মিছিল বের করে।
এ সময় তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে স্বাগত ও কৃতজ্ঞতা জানান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো নানা প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। সাধারণ জনগণের পাশাপাশি স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও আনন্দ প্রকাশ করেছেন ফেসবুকে।
এদিকে ঘোষণাটি প্রচার হওয়ার পর থেকে প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের কর্মী-সমর্থকদের এলাকায় দেখা যায়নি। উপজেলার কয়েকটি স্থানে অজ্ঞাত লোকজনকে পটকা ফুটিয়ে উল্লাস করতে দেখা যায়।
পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বিদ্যুৎ ফেসবুকে লিখেছেন, অবশেষে উইকেট পড়ে গেলো।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান হেলাল বলেন, দলকে বিতর্কের হাত থেকে রক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথ্য প্রতিমন্ত্রীকে পদত্যাগের নির্দেশনা দিয়েছেন, এটা প্রশংসনীয়।
মন্ত্রীসভা থেকে মুরাদ হাসানকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের নির্দেশ যেন সস্তি এনে দিয়েছে সাধারন মানুষের পাশাপাশি নেতাকর্মীদেরও। অনেকেই প্রশংসা করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের একের পর এক বেফাস কথা যেন বিতর্কের মুখে ঠেলে দিচ্ছিল দলকে ঠিক তখনই মানোনীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন সিদ্ধান্ত।