সম্প্রতি তারকারা ব্যক্তিগত জীবনে নানা কাণ্ড ঘটিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ছেন। তাদের এমন কর্মেকাণ্ডে রীতি মতো বিপাকে পড়েন বিনোদন মাধ্যমে সঙ্গে জড়িত অনেক কর্মীরা।শুধু তাই তাদের ভক্ত ও দর্শকরা এমন বিষয় নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে থাকেন। তবে বিষয়গুলো নিয়ে ব্যক্তিগত ভাবে তেমন প্রতিক্রিয়া দেখাতে দেখা যায় না তাদের।বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখিকা মিলি সুলতানা হুবহু পাঠকদের জন্য নিচে দেওয়া হলো।
সেলুলয়েডের ফিতায় দেখে এসেছি মায়া হাজারিকা, রাণী সরকার, মিনু রহমান, সুষমাদের কুটিল হিংসাত্মক চরিত্র। যদিও তারা কেবল সিনেমাতেই কুটিল অভিনয় করতেন। বাস্তবে অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন উনারা। বুবলিকে চিত্রজগত থেকে আউট করে দেয়ার জন্য ঐক্যবদ্ধ ষড়যন্ত্রের জাল বুনেছিলেন অবন্তী বিশ্বাস,পরীমণি, তমা মির্জা,পূজা চেরী প্রমুখ প্রমোদবালারা। একটা কথা আপনাদেরকে বিশ্বাস করতে হবে, যার যোগ্যতা আছে তার বিরুদ্ধে বেশি ষড়যন্ত্র হয়। অযোগ্যদের নিয়ে মানুষ মাতামাতি করেনা। শবনম বুবলির বিরুদ্ধে ফারজানা মুন্নির কানে যারা বিষ ঢেলেছে আলটিমেটলি তাদের আদমসুরাত জনতার সামনে চলে এসেছে। অবন্তী বিশ্বাস,পরীমণি,তমা মির্জা,পূজা চেরি- এই চার বেহারা মিলে বুবলিকে একটা বাক্সে ঢুকিয়ে উহুন্না উহুন্না করেছিলো। উক্ত চার চুনোপুঁটি মিলে বুবলির পা টেনে ধরে তাকে আটকে দিতে চেয়েছিলো। কিন্তু নতিজা বুমেরাং হল, চার ভিলেন উল্টো কট খেলো। চার বেহারার জানা নাই ওস্তাদের মাইর দুনিয়ার বাইর।
ফারজানা মুন্নির বক্তব্যের পর অবন্তীর ফলোয়ারদের উগ্রতা বেড়ে গেছে। এরা কিসে খুশি হবে নিজেরাও জানেনা। এতদিন তাদের মুখে কেবল চুকচুক শব্দ ছিল মুন্নির জন্য। মুন্নির দরদী হয়ে অবিরাম মনের বিষ ঢেলেছে বুবলির বিরুদ্ধে। আজ যখন মুন্নি সাক্ষাতকার দিলেন, দুধ কা দুধ পানি কা পানি করে দিলেন অমনি অবন্তীর বাহিনী বেজার হয়ে গেছে। এখন এদের কাছে ফারজানা মুন্নি খারাপ মহিলা। পৃথিবীতে একমাত্র অবন্তী বিশ্বাস ছাড়া বাকি সব্বাই খারাপ। মুন্নি একজন মানুষ। তিনি মহামানবী নন যে তার ভুল হবেনা। তিনিও ভুল করতে পারেন। সবচেয়ে ভালো লেগেছে মুন্নি স্বীকার করেছেন তিনি একটু ডিস্টার্বড ছিলেন। আর থাকবেন নাইবা কেন? সিস্টার্স গ্যাং যেভাবে তার কানে টেরিবল ইনফেকশন এনে দিয়েছে তাতে করে যেকেউ বিভ্রান্ত হতে পারে। আল্লাহর ফেরেশতা পর্যন্ত শয়তানের ধোঁকায় পড়েছিলেন। সেখানে মুন্নি তো রক্তমাংসের মানুষ। ধূর্ত সিস্টার্স গ্রুপ মুন্নির পালস ধরে ফেলেছিল, কিভাবে মুন্নি রিএক্ট করিয়ে স্বার্থসিদ্ধি করা যায় সেই নীলনকশা তারা আগেই বানিয়ে ফেলেছিলো। শ্রীহীন বিশ্বাস আরও ন্যাস্টি পলিটিক্স যেটা করেছে সেটা হচ্ছে কলরেকর্ড করে এবং সেটা এডিট করে বাজারে ছড়িয়ে দিলো। শ্রীহীন বিশ্বাস এটা ক্রাইম করেছেন। এর জন্য মুন্নির উচিত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। এদের ডার্টি পলিটিক্স তাপস-মুন্নির জন্য শাপে বর হবে তা কিন্তু শ্রীহীন বিশ্বাস জানতোনা। টিএম ফিল্মসের “খেলা হবে” ছবির ব্যাপক পাবলিসিটিও হয়ে গেল। এখন সবাই এই ছবি দেখবে এর নেপথ্য ঘটনাবলীর কারণে। সিস্টার্স গ্যাং অন্যের পিঠে খঞ্জর চালাতে গিয়ে নিজেদের পশ্চাদদেশে খঞ্জর বসিয়ে দিয়েছে।পড়ালেখা জানা থাকলে শ্রীহীন বিশ্বাস এমন ভুল করতেন না। এইজন্যই বলা হয় শিক্ষার বিকল্প নাই।
এতদিন লম্বা অপেক্ষায় ছিলাম ফারজানা মুন্নির বক্তব্যের জন্য। মুন্নির বক্তব্য প্রমাণ করেছে শ্রীমতী অবন্তী বিশ্বাস একটা আপাদমস্তক মিথ্যুক। রাত তিনটার সময় মানুষ গভীর নিদ্রায় স্বপ্নে লিপ্ত থাকে। কিন্তু অবন্তীর কি আর ঘুম আছে? তার মাথাভর্তি কূটনামি। বুবলিকে বাজারী আউরাত বানাতে গিয়ে যে সিস্টার্স গ্যাং নিজেরাই বাজারী আউরাত বনে গেলো সেটার কি হবে? দলনেতাকে খুশি করতে গিয়ে পরীমণি “খেলা হবে” থেকে গেট আউট হয়ে গেলো। সেলুলয়েডের ফিতায় পরীর মার্কেট ডাউনে চলে গেছে।পরীমণির একজন ভালো মা হবার চেষ্টাকে আমি স্বাগত জানিয়েছিলাম। এই ভেবে যে তার অতীত ডার্কনেস হোক আর যাই হোক তাকে একটা চান্স তাকে দেয়া উচিত। রায়হান রাফি ছাড়া তমা মির্জাকে নিয়ে অন্যরা মুভি করবেনা সেটা মোটামুটি ক্লিয়ার। রইলো বাকি পূজা চেরি। সে আছে জাজ মাল্টিমিডিয়ার শরণার্থী শিবিরে। কৌশিক হোসেন তাপস ফারজানা মুন্নি চলচ্চিত্র নির্মাণ করুন এটা একটা হিংসুক গোষ্ঠী চায়না। তাই শ্রীহীন বিশ্বাসদের সাথে হাত মিলিয়ে তাপস মুন্নিকে জুজুর ভয় দেখিয়ে চলচ্চিত্র প্রযোজনা থেকে হটিয়ে দিতে চাচ্ছে।সবশেষে একজন নিকৃষ্ট মহিলাকে সবাই চিনতে পারলো।