মুজিব মেয়রের সঙ্গে লাগতে আছস, এমন কথা বলেই আমাকে পিঠের দিক থেকে গু’/লি চালানো হয়েছে। দলে ওরা তিন-চারজনের মতো এসেছিল। ওরা আমার পেছন দিক থেকে গু’/লি করে এরপর পালিয়ে যায়। তাদের কাউকে আমি চিনতে পারিনি,” এমনভাবে বলেছিলেন মোনাফ সিকদার যিনি কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি হিসেবে রয়েছেন।
দুর্বৃ’ত্তদের পিঠের বাম দিকে গুলি করার পর সেটা পিঠ দিয়ে ঢুকে তার পেটের সামনের অংশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মোনাফ এখনও নিরাপদ নয়। হাসপাতালের বিছানায় যন্ত্র’/ণায় কাত’রাচ্ছেন ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতা। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে করতে তিনি যে সময় কথা বলতে চাইন, তিনি আকস্মাৎ চিৎ’কার দিয়ে বলে ওঠেন, ‘পারছি না।’ মোনাফ সিকদার দেশের একটি অন্যতম সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘মেয়র মুজিবুর রহমানের নির্দেশেই আমাকে গু’/লি করা হয়েছে।’ তাকে কেন গু’/লি করা হয়েছে এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এখনও জানিনা। আমাকে কেন গু’/লি করা হয়েছে তা কক্সবাজারের মানুষ জানে। ‘
গু’/লি করার সময় কতজন ছিল—জানতে চাইলে তিনি হাতের তিনটি আঙুল দেখান। নিচু স্বরে বলেন, ‘তাদের একজন গু’/লি করেছে।’ চিনতে পেরেছেন কি না—জানতে চাইলে মাথা নেড়ে না-সূচক জবাব দেন। গত ২৭ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে পর্যটন শহর কক্সবাজারের সুগন্ধা পয়েন্টে শুঁটকি মার্কেটের সামনে দুর্বৃত্তদের গু’/লিতে গুরু’তর আ’হ’/ত হন মোনাফ। ওই গুলি তাঁর পেট দিয়ে বেরিয়ে সামনে থাকা তারেক নামের এক যুবকের পায়ে বি’/দ্ধ হয়। তারেক কক্সবাজারের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
গু’/লিবি’দ্ধের পর মোনাফকে প্রথমে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে রক্ত দিয়ে কক্সবাজার থেকে ওই দিন রাত সাড়ে ৩টার দিকে ভর্তি করা হয় চমেক হাসপাতালে। এক সপ্তাহ ধরে হাসপাতালের সার্জারি ইউনিট-২ (২৫ নম্বর ওয়ার্ড) ৩৪ নম্বর শয্যায় চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।
মোনাফের বড় ভাই শাহজাহান সিকদার এই ঘটনার পর নিজে বা’/দী হয়ে ১৪ জনের নামে মা’মলা দায়ের করেন যার মধ্যে প্রধান আ’/সা’মি করা হয়েছে কক্সবাজার সদর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানকে। মোনাফের ভাই এই মাম’লা দা’য়ের করার পর ঐ দিনই অভিযুক্ত মেয়রের সমর্থকরা কক্সবাজারে বি’/ক্ষো’ভ শুরু করে। মা’মলার প্র”তিবাদে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের বি’ক্ষো/ভের মুখে প্রায় অচল হয়ে পড়ে কক্সবাজার।
এদিকে ঘটনা ঘটার পর সপ্তাহ খানেক পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত কোনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পু’/লি’শ। যে অস্ত্র দিয়ে গু’/লি করা হয়েছে সেটা উদ্ধার হয়নি। এই ধরনের ঘটনার পর বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ এবং মেয়রকে দায়ী করার মাধ্যমে মোনাফ যে বক্তব্য দিয়েছে সেটা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে গতকাল দুপুরের দিকে মুনির-উল-গিয়াস যিনি কক্সবাজার সদর মডেল থা’/নার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।