স্পেসএক্স এর চিফ এক্সিকিউটিভ (প্রঢান নির্বাহী) হলের বিশ্বের সব চেয়ে ধনী ইলন মাস্ক। এই ধনকুবের সিনেট ফিনান্স কমিটির চেয়ারম্যান রন ওয়াইডেন সম্পর্কে একটি স্বল্প মাত্রার প্রাপ্তবয়স্ক রসিকতা (অ্যাডাল্ট জোক) করে ফেললেন। ইলন মাস্কের করা একটি টুইটের প্রতিক্রিয়া জানানোর পরপরই, এই খারাপ জোকটি করে ফেললেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী এই ব্যক্তি।
জানা গেছে যে, ইলন মাস্ক টেসলার শেয়ারের ১০ শতাংশ বিক্রি করার বিষয়ে মতামত চেয়ে একটি টুইট করেছেন। রন ওয়াইডেন সেই ঘটনার জন্য ইলন মাস্কের সমালোচনায় নামলেন এবং করলেন বেশ কড়া মন্তব্য।
তবে ইলন মাস্ক নগদ অর্থে কখনও কোনো বেতন-বোনাস নিয়ে থাকেন না। তাই বকেয়া কর পরিশোধের জন্য টেসলা তার ১০ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করবে কি না এমন ধরনের মতামত চেয়ে টেসলা প্রধান টুইটারে ভক্তদের কাছে প্রশ্ন তোলেন। উত্তরদাতাদের অধিকাংশই বলেছে যে, কর দিতে টেসলার শেয়ার বিক্রি করাটাই ভালো হবে।
গত শনিবার ইলন মাস্ক টুইট করেন, সম্প্রতি অসাধিত আয়কে কর ফাঁকির উপায় আখ্যা দিয়ে অনেক কিছুই বলা হচ্ছে, তাই আমি আমার টেসলা শেয়ারের ১০ শতাংশ বেচে দেওয়ার প্রস্তাব রাখছি। ওই টুইটের পর টেসলার শেয়ার বিক্রি প্রসঙ্গে ভক্তদের মতামত নিতে এক ‘টুইটার পোল’ চালু করেন তিনি।
রবিবার দুপুর পর্যন্ত ওই টুইটার পোলে অংশ নেন ৩৫ লাখ টুইটার ব্যবহারকারী। এর মধ্যে শেয়ার বেচার পক্ষে মত দিয়েছেন ৫৭.৯ শতাংশ। পোলের সময় সীমা শেষ হওয়ার আগেই মাস্ক আরেকটি টুইট করে বলেছিলেন, ফলাফল “যাই হোক না কেন”, সেটা মেনে নেবেন তিনি।
এরপর রন ওয়াইডেন টুইট করেন, বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি আদৌ কোনো কর দেবেন কি না, তা টুইটার পোলের ফলাফলের ওপর নির্ভর করে না। এটা ধনকুবেরদের আয়কর দেওয়ার সময়।
এরপর রন ওয়াইডেনকে কা’মা/তুর মনে হচ্ছে বলে উদ্দেশ্য করে ইলন মাস্ক বলেন, আপনার পিপি (প্রাইভেট পার্টস) দেখে মনে হচ্ছে কেবল দাঁড়ালো।
“আমি কোথাও থেকে নগদে কোনো বেতন-বোনাস গ্রহণ করি না,” স্মরণ করিয়ে দিয়ে এমনটাই বলেন ইলন মাস্ক। আমার কাছে শুধু স্টক আছে। আমার জন্য সেই স্টক বিক্রি করে কর দেওয়াটাই আমার কাছে একমাত্র উপায়।
এদিকে ইলন মাস্ক অসাধিত আয়ের ওপর কর আরোপের প্রস্তাবের বিষয়টিকে যুক্তিযুক্ত হিসেবে দেখাছেন না তিনি এটার বিরোধিতা করে আসছেন। রন ওয়াইডেনের যে প্রস্তাবনা জানিয়েছেন সেই আইনে যদি সম্পদের মূল্য বৃদ্ধি পায়, তাহলে তিনি সেই মূল্য বৃদ্ধির উপর কর আরোপ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। এমনকি যদি মালিক তার সম্পদ বিক্রি না করে তাহলেও তার উপর কর আরোপ করার বিষয়টি বলা হয়েছে। প্রস্তাবটি আইনে পাস হলে যারা বিনিয়নি তাদের কর ফাঁকির সম্ভাবনা কমে যাবে। এমনকি তারা ট্যাক্স না দিলেও, মার্কিন কোটিপতিরা বর্ধিত মূল্যের বিপরীতে ঋণ সুবিধা পান।
প্রস্তাবিত আইনের বিষয়ে আপত্তি জানান এবং এরপর একটি টুইটের জবাবে, ইলন মাস্ক অক্টোবর মাসের দিকে পুনঃটুইট করেছিলেন, “একবার যখন তারা যখন মানুষের অর্থ শেষ করে ফেলে, তখন তারা আপনার পেছনে লাগতে শুরু করে।”
খবর বিজনেস ইনসাইডারের।