বর্তমানে বাংলাদেশের বেহাল অবস্থা। জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সংকট বিব্রতকর পরিস্থিতে ফেলে দিয়েছে সারা দেশের মানুষকে। যে বিষয় নিয়ে গভীরভাবে চিন্তিত বাংলাদেশের বর্তমান সরকার। কিভাবে সমাধান করা যায় তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা চলছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এসকল বিষয় নিয়ে সারাদেশে প্রতিবাদ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করছে বিরোধী দলের নেতারা। তাদের সাথে সমঝোতা নিয়ে এক সংবাদকর্মীর কাদেরকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, যারা মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দেন তাদের সঙ্গে আপস কী?
আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরানোর চক্রান্ত চলছে। বিশ্ব পরিস্থিতির শিকার বাংলাদেশ, এটা সরকারের সৃষ্টি নয়। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) এক বৈঠকে কাদের এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা জনগণের কষ্ট বোঝেন। তার সরকার বাস্তবতা অস্বীকার করছে না। কাদের বলেন, সরকার পরিবর্তন করতে হলে নির্বাচনে আসতে হবে, নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই।
ইভিএম প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্থানীয় নির্বাচন ইভিএমে ভোট হয়। কোথাও কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। সরকার নির্বাচনে ইভিএম চায় কারণ তারা কারচুপি ও সিলগালা নির্বাচন চায় না। যারা ব্যালট পেপার চুরি করে এবং কারচুপি করে জিততে চায় তাদের ইভিএম সমর্থন করে না। কাদের বলেন, বিএনপিকে নির্বাচনে আসতেই হবে। তাদের অস্বস্তি টিকিয়ে রাখতে নির্বাচনে আসবে বিএনপি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কারও ইশারায় ক্ষমতায় থাকতে চায় না। জনগণ ভোট দিলেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে। তিনি বলেন, ইভিএম না চাইলে বিএনপি কেন ইসির সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয়নি। বিএনপি নেতাদের মনে ষড়যন্ত্রের খেলা।
আসন্ন নির্বাচনে ইভিএম এর ব্যবহার নিয়ে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকে এবিএম কে সমর্থন করলেও বিপক্ষে কথা বলেছেন অনেকেই। ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারে ভোট চায় না বিএনপিসহ বিরোধী দলের অনেক রাজনীতিবিদ।