বরগুনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার হারুন অর রশিদকে মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফারুক মোল্লার ছেলে শাওন মোল্লার বিরুদ্ধে।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। মারধরের ঘটনাটি ঘটেছে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে। ৩ মিনিট ৪২ সেকেন্ডের ভাইরাল ভিডিওতে শওন মোল্লাকে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হারুন অর রশিদকে চড় মারতে দেখা যায়। এ সময় এক পথচারী শাওন মোল্লাকে বাধা দিলে তিনি তাকেও ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন। এরপর সদর থানার পুলিশ সদস্য আলমগীর হোসেন এসে শাওন মোল্লাকে সরিয়ে দেন। ভিডিওতে আবদুর রশিদকে বলতে শোনা যায়, আমি কখনো আওয়ামী লীগের কর্মসূচিতে ছিলাম না। আমি কোনো দুর্নীতি করিনি। যদিও এ সময় শাওন মোল্লা তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, মারধর করা হয়েছে বলে শুনেছি। একজন বয়স্ক মানুষকে মারধরের ঘটনা অপ্রত্যাশিত। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব মৃধা বলেন, একজন বৃদ্ধ লোকের সঙ্গে এমনটা না হলে ভালো হত। তিনি যদি অপরাধ করে থাকেন তার জন্য আইন আছে। বিষয়টি দুঃখজনক
তবে বরগুনা জেলা বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল রশিদ মিয়া মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ফারুক মোল্লাসহ একাধিক নেতার কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। এছাড়া তার সুপারিশে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা থেকে বিএনপির কয়েকজন নেতার নাম বাদ দেওয়া হয়। এসব নিয়ে ক্ষুব্ধ শাওন মোল্লাও।
এ প্রসঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ বলেন, আজ বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যাই। ফারুক মোল্লার ছেলে শাওন মোল্লাসহ অনেকে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। শাওন আমাকে ডেকে বাইরে নিয়ে গেল। এরপর তারা আমাকে নানা ভাষায় গালিগালাজ করে। সেখানে অনেক মানুষ ছিল। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেব। বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মারধরের বিষয়ে শাওন মোল্লা বলেন, আমাদের দলের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মনিকে নিয়ে বাজে মন্তব্যের বিষয়ে তার কাছে জানতে চাই। পরে তার সাথে আমার ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে আমি তাকে মারধর করি। এ ছাড়া আমার বাবার নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য তিনি আমার কাছ থেকে তিন লাখ টাকা নেন। তিনি আওয়ামী লীগের দালাল হিসেবে পরিচিত।