পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলার একটি এলাকায় ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার অভিযোগে এক যুবককে হাতেনাতে ধরার পর তাকে আটক রেখে পরে পুলিশের নিকট সোপর্দ করা হয়েছে। এই ঘটনায় ঐ এলাকায় আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। তবে তিনি ঠিক কী কারণে এমন কাজ করেছেন সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে দুমকি উপজেলা কমপ্লেক্সের জয়বাংলা চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয়রা তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
গ্রেফতারকৃত শরীয়তুল্লাহ (২০) উপজেলার দুমকি মাদ্রাসা ব্রিজ এলাকার মিজানুর রহমান মৃধার ছেলে। তিনি তাবলীগ জামাতের একজন সক্রিয় কর্মী। স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শরীয়তুল্লাহ মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভের ওপরে উঠে মাথা ভেঙ্গে মাটিতে ফেলে দেয়। এ সময় শব্দ শুনে উপজেলা পরিষদের নিরাপত্তাকর্মী ও কোয়ার্টার অফিসাররা ছুটে আসেন। পরে পালিয়ে যাওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন।
এদিকে সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সৈয়দ গোলাম মর্তুজা বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে না”/শকতা ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেছেন।
আবদুস সালাম যিনি থানার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি ঘটনার বিষয়ে জানান, গত শনিবার অর্থাৎ ১৪ জানুয়ারি শরীয়তউল্লাহকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের নিয়মিত মা’মলায় গ্রেফতার দেখানোর মাধ্যমে অবিলম্বে আদালতে পাঠানো হবে। পরবর্তিতে আদালত কোন নির্দেশনা দিবে সেটা আদালত দেখবে।