বাংলা ছোট পর্দার বেশ সাড়া জাগানো একজন অভিনেতা মীর সাব্বির। বিশেষ করে ধারাবাহিক নাটকে কমেডিয়ান চরিত্রে অভিনয় করে খুব অল্প সময়ে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। তবে সম্প্রতি এক অশালীন মন্তব্যের জের ধরে গত কয়েকদিন ধরে সংবাদম মাধ্যমের শিরোনামে রয়েছেন সবার প্রিয় এই অভিনেতা।
ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা মীর সাব্বিরের একটি ভিডিও নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যেখানে অভিনেতা উপস্থাপিকা ইসরাত পায়েলকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘এই মাতারি তুমি এরম উদলা গায়ে দাঁড়ায়ে আছো কিয়েরলিগা’। তখন বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নিলেও পরবর্তীতে এটি নিয়ে সরব হন পায়েল।
‘মিসেস ইউনিভার্স বাংলাদেশ ২০২২’-এর মঞ্চে বিষয়টি হেসে উড়িয়ে দিলেও পরে সাব্বিরের মন্তব্য নিয়ে আপত্তি তোলেন ওই উপস্থাপিকা।এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মঞ্চে এসে পোশাক নিয়ে কথা বলাটা অসুন্দরের লক্ষণ। এর জন্য তার ক্ষমা চাওয়া উচিত।’
কিন্তু সাক্ষাৎকারটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই কমেন্ট বক্সে উপস্থাপকের সমালোচনা করছেন নেটিজেনরা। তাদের মধ্যে নারী নেটিজেনও রয়েছেন। আরোহী হাওলাদার নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘ভাইরাল হওয়ার কৌশল। আগে কেউ চিনতো না, এখন ভালো করে চিনবে।
শাহরিন জাহান শর্মি নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘আপনি নিজেকে যেভাবে উপস্থাপন করবেন সবাই আপনাকে সেভাবে দেখবে।’ এইচ এম নাসির উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘সাব্বির ভাইকে স্যালুট, আপনার মতো সবাই যদি সর্বত্র প্রতিবাদ করত তাহলে আজ আমাদের সমাজে নারীরা এতটা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকত না। .’ জান্নাতুল ইসলাম নামে একজন লিখেছেন, ‘তখন সাব্বির ভাইয়ের কথায় ঠিকই মজা পেয়েছিলেন এবং হেসেছিলেন। এখন আবার অপরাধে পরিণত হয়েছে। অদ্ভুত পৃথিবী.’
দেশের প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার ও বিরোধীদলীয় নেতার সাক্ষাৎকারে এমন উদাহরণ দিয়েছেন উপস্থাপক। এ প্রসঙ্গে মোশাররফ নোমান নামে এক নেটিজেন লিখেছেন, “দেশের প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, বিরোধী দলের নেতা আপনার মতো অশালীন পোশাক পরেন না, যে তাদের উদাহরণ টানবেন!
এদিকে বুধবার বিকেলে মীর সাব্বির তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ঘটনার বিস্তারিত জানান। ‘এক দেশের গালাগালি আর অন্য দেশের বুলিং’ উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, ‘গত ১১ নভেম্বর আমি মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অতিথি হয়েছিলাম। সেখানে দুই উপস্থাপক একটি বিষয়ে কথা বলেন। মঞ্চে আমার সাথে কথা বলার পর দেখলাম উপস্থাপক তাকে নিয়ে দুটি অনলাইন সংবাদ প্রকাশ করেছেন। এ কারণে অনেক সাংবাদিক আমাকে ফোন করেন।
“‘আসলে মূল বিষয়টা ছিল, ‘মানে বলতে পারেন তেমন কিছুই না।’ একটি ছোট বিষয়কে হঠাৎ করে বড় করার চেষ্টা করা হয়েছে।উপস্থাপক মজার আড়ালে আমাকে বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় কথা শুনতে চেয়েছিলেন।যেহেতু আমি বরিশালের ছেলে।আমি যা বলেছি তা উপস্থাপক একটি সুন্দর হাসি দিয়ে গ্রহণ করলেন। শ্রোতারা মজা পেয়েছিলেন। আমি যা বলেছিলাম তা এই মুহূর্তের উদ্দীপনা এবং এর পিছনে কোন উদ্দেশ্য ছিল না। আমি কাউকে বিরক্ত করার জন্য কিছু বলিনি। অবশ্যই সবাই বুঝতে পেরেছেন।’
এদিকে এ বিষয়ে মীর ছাব্বিরকে ক্ষমা চাইতে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট আলোচিত উপস্থাপিকা সেই ইসরাত পায়েল। তবে এ বিষয়ে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন মীর ছাব্বির।