Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / মীর সাব্বিরকে কি বলা যেতো, ও মনু, ভুড়ি চ‍্যাগায়া খাড়ায়া আছো ক‍্যান: আব্দুন নূর তুষার

মীর সাব্বিরকে কি বলা যেতো, ও মনু, ভুড়ি চ‍্যাগায়া খাড়ায়া আছো ক‍্যান: আব্দুন নূর তুষার

ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা মীর সাব্বির গত ১১ নভেম্বর ‘মিসেস ইউনিভার্স’ নামক একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা পায়েলকে নিয়ে বরিশালের ভাষায় মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছেন। সেখানে তিনি উপস্থাপিকাকে নিয়ে বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় সংলাপ দিয়ে উপস্থাপিকার অভিযোগের শিকার হন। মীর সাব্বিরের এ ধরনের মন্তব্য করার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়েছে। ইসরাত পায়েল মীর সাব্বিরের নিকট বরিশালের ভাষায় একটি সংলাপ শুনতে চাইলে, সাব্বির বলেন ‘এই মাতারি তুমি এরম উদলা গায়ে দাঁড়ায়ে আছো কিয়েরলিগা’। এ বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছেন আব্দুন নূর তুষার। তার পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

উদলা শব্দটি গণমাধ‍্যমে বলা হলে এর অর্থ স্বীকৃত অভিধান থেকেই নিতে হবে। আমি একাধিক বরিশালের লোকের সাথে কথা বলে নিশ্চিতরূপে জেনেছি উদলা মানে অনাবৃত ; ঢাকনাবিহীন বা ন”/গ্ন বা শরীরের বৃহদাংশ উন্মুক্ত। প্রশ্ন হলো উপস্থাপিকা নারী না হলে কি এই পোষাক প্রসংগ আসতো? কোন পুরুষ হলে কি উদলা না ঢাকা এই বাক‍্যটাই বলা হতো?

আর বরিশালের ভাষায় কি উদলা মাতারী ছাড়া আর কোন সংলাপ বলা অসম্ভব ছিলো? সেটাও না।

নারীর পোশাক এর দৈর্ঘ্য বা পরিমান নিয়ে মন্তব‍্য করাই একটি ভুল। সেটা যেভাবেই ও যে ভাষাতেই বলা হোক। পায়েলকে কেউ চেনে নাকি চেনে না এটা বিবেচ‍্য হবে কেন? সে এই অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করছিলো। এটা যদি তার জীবনের প্রথম অনুষ্ঠানও হয়, তাহলেও কি তাকে এটা বলা যেতো? রাস্তায় বা অফিসে পরিচিত বা অপরিচিত কোন নারীকে এভাবে বলা কি বলা যাবে যে সে কেন উদলা গায়ে খাড়ায়া আছে?

রূচিহীনতা এমনভাবে বিস্তৃত হয়েছে যে এই বিষয়গুলি আমরা কেউ কেউ স্বাভাবিকভাবে মেনে নিচ্ছি। ধরেন স্টেজে পুরুষ থাকলে কি বলা যাবে বা মীর সাব্বিরকে কি বলা যেতো যে “ও মনু। ভুড়ি চ‍্যাগায়া খাড়ায়া আছো ক‍্যান?”

মঞ্চকে এত খেলো ভাবা ঠিক না। পলিটিকাল ও সোশাল কারেক্টনেস বলে একটা বিষয় আছে। এটা থাকতে হয়। শিল্পীকে সচেতনভাবে এই বিষয়গুলি মেনে চলতে হয়। সাব্বির ভেবে চিন্তে বলে নাই। সমস‍্যা এটাই। চিন্তা ভাবনা ছাড়া একটা কিছু দিলাম বলে। এতে শিল্প ছোট হয়। অমর্যাদা হয় দর্শকদেরও।

বরিশালের ভাষা বলেই বিষয়টা উপেক্ষা করা যাবে না। বরং বরিশালের ভাষায় সুন্দর কথা বলা জরুরী যাতে আঞ্চলিক ভাষাগুলো তার মধুরতার জন‍্য মর্যাদা পায়। সাব্বির এর বাক‍্যচয়নটি মঞ্চ ও গণমাধ্যমের জন‍্য অনুপযুক্ত ও অরূচিকর ছিলো। সেখানে পায়েল বা দোয়েল যেই থাকুক না কেন তার সাথে এই অনভিপ্রেত সংলাপের কোন সম্পর্ক নাই। পুরো ব‍্যাপারটাই মিসোজিনি।

উল্লেখ্য, মীর সাব্বির এ বিষয়ে তিনি ইসরাত পায়েলকে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এটা কোন উদ্দেশ্য নিয়ে বলা হয়নি। শুধুমাত্র মজার ছলে বলা হয়েছে। মীর সাব্বির এর পক্ষ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছেন অভিনেতা – পরিচালক শাহরিয়ার নাজিম জয়। ইসরাত পায়েলের এমন ধরনের প্রতিক্রিয়া জানানো উচিত হয়নি বলেও তিনি জানান।

About bisso Jit

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *