স্বামীর তৃতীয় বিয়ের মুহূর্তে একসঙ্গে হাজির দুই ‘স্ত্রী’। বিষয়টি নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে। বিষয়টি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, শুভঙ্কর হালদার কালনারের ধর্মডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। শুক্রবার বিকেলে হঠাৎ তার বাড়ির সামনে বসে পড়েন দুই নারী। দুজনই নিজেকে যুবকের স্ত্রী বলে দাবি করেছেন!
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, শুভঙ্কর বিবাহিত। কিন্তু এখন সেই দুই স্ত্রীর সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। তবে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দেওয়া চামেলী হালদার দাবি করেছেন, স্বামী তাকে খেতে দিতেন না। কয়েক মাস ধরে বাবার বাড়িতে রয়েছেন তিনি।
এমনকী, শুভঙ্কর এর আগে একবার বিয়ে করার কথাও চাপা দিয়েছিলেন। চামেলী জানায়, আমার স্বামীর তিনটি বিয়ে হয়েছে। সেই এখানে-সেখানে বিয়ে করে সংসার শুরু করে। আজ সেই প্রমাণ নিয়ে এলাম।
তিনি এই মহিলাকেও বিয়ে করেছেন। আমার আগে একজনকে বিয়ে করেছিল, তা জানায়নি। আমার সন্তানদের ভবিষ্যৎ গড়ে দেওয়ার দাবি জানাতে এখানে এসেছি।
অন্যদিকে কাকলি নামে আরেক নারী একটি নথি দেখিয়ে দাবি করেন, শুভঙ্করের সঙ্গে তার রেজিস্ট্রি বিয়ে হয়েছে।
স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে তিনি বলেন, শুভঙ্কর রেজিস্ট্রি করে আমাকে বিয়ে করেছে। বাবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে বলে সে আমার কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়েছে। বাড়ি বন্ধক রেখে সেই টাকা দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, কালনায় আমার আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক হয়। শুভঙ্কর জানান, তিনি তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন। বহুদিন আমার কাছে ছিল। খাওয়াপরা থেকে যাবতীয় খরচ আমি বহন করেছি।
তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। এখন সে আমার সাথে সম্পর্ক রাখতে চায় না।অন্য একজনের প্রেমে পড়েছে। এখন ওকে দেওয়া পুরো টাকা ফেরত দিক, নাহলে আমাকে ঘরে তুলুক।
যদিও শুভঙ্কর বলেন, একজন আমার বিবাহিত স্ত্রী। আমি তার সাথে চার বছর ছিলাম। আমি বাড়িতে ছিলাম না। সেই সময় পরিবারের সবার নামে মামলা করেছিল।
এসেছেন কালনার কদমতলায় আর এক মহিলা। তিনি আমার মতো বেশ কয়েকজনকে ফ্রেমবন্দী করেছেন। পঞ্চায়েত সদস্য প্রদীপ মণ্ডল জানান, নথি দেখে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। তাই তাদের কিছু করতে হলে আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।