শেখ হাসিনা সরকার ইতিমধ্যে মাথা বিক্রি করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আজ আমরা দেখছি মিয়ানমারের ম/র্টার শেল বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এসে পড়ছে। বাংলাদেশের নাগরিক ম/রছে কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কোনো প্রতিবাদ আমরা দেখিনি। কারণ তারা ইতিমধ্যে মাথা বিক্রি করে দিয়েছে। যারা মাথা বিক্রি করে তারা সেনাবাহিনী ও বিজিবিকে ধৈর্য ধরতে বলেন।
মঙ্গলবার বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় জিয়া পরিষদের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আছে। এ কারণে কারাগারে রয়েছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। আর তিনি (শেখ হাসিনা) তার সোনার হরিণকে ধরে রাখতে চান। গণতন্ত্র প্রিয় মানুষ সেনাবাহিনী ও বিজিবিকে ধৈর্য ধরতে বলছে। কারণ তিনি নতজানু হয়ে প্রভুদের সাহায্য করার জন্য জনগণকে তালাক দিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা ধরে রেখেছেন। অন্য দেশের ছোড়া ম/র্টার শেল খেয়ে মানুষ মা/রা গেলেও প্রতিবাদ করতে পারেনি। কারণ আপনি তো ডামি নির্বাচন করেছেন, তাই আপনি জনগণের সাথে তামাশা করেছেন।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, সরকার দেশে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বাহিনী তৈরি করেছে; যাকে ছাত্রলীগ বলে। তাদের কোন আইন নেই। বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের মিছিল দেখলেই লাফ দেওয়ার নির্দেশ রয়েছে। অবৈধ অ/স্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে তাদের তাড়া করবে। যার ফল এখন সরকারসহ সাধারণ মানুষ অনুভব করছে।
জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ধ/র্ষণের ঘটনা উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার ছাত্রলীগের নারী নি/র্যাতনের কথা প্রকাশ করছে। জাবির হলে স্বামী-স্ত্রীর গ/ণধর্ষণের ঘটনার পরও নড়েননি প্রধানমন্ত্রী। সিলেট এমসি কলেজে গত বছরের নারী নি/র্যাতনের সঙ্গে জড়িতদের এখনো বিচার হয়নি। ছাত্রলীগ নারী নি/র্যাতন করলে শেখ হাসিনা কিছু বলেন না। তিনি ছাত্রলীগের জন্য অবাধে নারীদের শ্লীলতাহানি করতে দিয়েছেন।
রিজভী আরও বলেন, গণতন্ত্রের কথা বললেই বিচার হয়। আজ মির্জা ফখরুল মির্জা, আব্বাস, আমীর খসরুসহ বিএনপির অনেক নেতাকর্মীকে বিনা অপরাধে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। এদেশে কোনো সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নেই। শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি জনগণের ক্ষোভ তীব্রতর হচ্ছে, তাদের পতন খুব কাছাকাছি।
শীতার্ত ও দরিদ্র মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করায় জিয়া পরিষদকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিএনপির এই প্রবীণ নেতা বলেন, হাসিনা সরকার শুধু বড় বড় প্রকল্পের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে উন্নত দেশে পাচার করছে। রাজনীতি হল মানুষের সুখের খোঁজ করা; জিয়াউর রহমানকে দেখতে মাইলের পর মাইল পাড়ি দেন। তিনি নিজেই কোদাল দিয়ে খাল খনন করেন। কিভাবে নি/পীড়ন সহ্য করে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হয় তা দেখিয়েছেন খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল কুদ্দুস, জেলেদের সদস্য সচিব আবদুর রহিম, যুবদলের সাহিত্য প্রকাশনা সম্পাদক মেহবুব মাসুম শান্ত, ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ওমর ফারুক কাওছার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।