মিয়ানমারে স্বাধীনতার পক্ষের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে যুদ্ধে হেরে যাওয়ার পর দেশটির ক্ষমতাসীন জান্তাপন্থী সীমান্তরক্ষীদের বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে এবং তাদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের নমনীয়তায় ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজে পাচ্ছে বিএনপি। একইসঙ্গে সরকার দেশের জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষ থেকে এসব কথা বলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়ার নতুন কোনো ষড়যন্ত্র আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা উচিত। একদিকে ভারত সীমান্তে হ”ত্যা, অন্যদিকে মিয়ানমার সীমান্তে সংঘা”তের কারণে বাংলাদেশ এখন ক্রসফায়ারে। ব্যর্থতা এড়াতে সরকার নিজেই বহিরাগত শক্তি নিয়ে পরিস্থিতি তৈরি করছে কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার।
তখন গয়েশ্বর বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন। তাদের পতন সময়ের ব্যাপার মাত্র। ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকার নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে ভারত, চীন ও রাশিয়াকে অবৈধ অর্থনৈতিক ও ভূ-রাজনৈতিক সুবিধা দিয়ে সহায়তা চেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য বারবার দেশের স্বার্থ বিসর্জন দিয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি অসহনীয় হলে দেশের অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক খাতসহ সব ক্ষেত্রেই বিপর্যয় নেমে আসবে। এর দায় সরকারকেই নিতে হবে।
বিএনপি আন্দোলন থেকে সরে এসেছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আন্দোলনের গতিবিধি এক থাকে না। বিভিন্ন সময় আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি পরিবর্তন হয়। বিএনপির আন্দোলন চলমান আছে, আন্দোলনের গতি প্রকৃতি শিগগিরই আরও স্পষ্ট হবে। গণতন্ত্রের পক্ষে-বিপক্ষের লড়াই চলছে। বিএনপির লড়াই আজ কেবল আওয়ামী লীগের সঙ্গে নয়। এ লড়াই জনবিদ্বেষী সরকারের সব দোসরের সঙ্গে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইমলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, নিতাই রায় চৌধুরী, ড.এ জেডএম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড.সিরাজুদ্দিন আহমেদ, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, সুকোমল বড়ুয়া, তাহসিনা রুশদীর লুনা, ড. সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, হারুন অর রশিদ প্রমুখ।