মিয়ানমার নিয়ে শংকা যেন কাটছেই না বাংলাদেশের। বলতে গেলে এক প্রকার যেন খামখেয়ালি শুরু করেছে মিয়ানমার বাংলাদেশের সাথে। যা বেশ কিছু দিন ধরেই পরিলক্ষিত হচ্ছে দেশের সীমান্তে।
জানা গেছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পাহাড় থেকে ছোড়া একটি মর্টার শেল বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে এসে পড়লে এক রোহিঙ্গা কিশোরের মৃত্যু ও বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গার আহত হওয়ার ঘটনায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এ নিয়ে এক মাস পর মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে চারবার তলব করা হয়।
রোববার সকাল ১১টা ২০ মিনিটে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিয়াও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসেন। প্রায় ১৫ মিনিট অপেক্ষার পর রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক নাজমুল হুদার কার্যালয়ে তলব করা হয়।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে গোলাগুলি অব্যাহত রয়েছে। ওই ঘটনায় রাখাইন রাজ্যের পাহাড় থেকে ছোড়া একটি মর্টার শেল তুমব্রু সীমান্তের বিপরীতে জিরো লাইনে পড়ে এক রোহিঙ্গা কিশোরের মৃত্যু হয়। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে ওই কিশোরের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া ওই ঘটনায় এক শিশুসহ পাঁচ রোহিঙ্গা আহত হয়েছেন। তারা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে মিয়ানমারের বিমান প্রবেশের ঘটনায় ঢাকায় মোতায়েন, বাংলাদেশ সীমান্তের তুমব্রু এলাকায় মিয়ানমারের ভূখণ্ড থেকে ছোড়া একটি বুলেট, মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া দুটি বুলেটের ঘুমধুম এলাকায় অবতরণ করা হয়। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা ও মিয়ানমার থেকে ছোড়া একটি মর্টার শেল বাংলাদেশ সীমান্তে পড়েছে। মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তিনবার তলব করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা। প্রতিবারই নোটটি তার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
গত ৯ সেপ্টেম্বর মিয়ানমারের ভূখণ্ড থেকে ছোড়া একটি বুলেট বাংলাদেশ সীমান্তের তুমব্রু এলাকায় এসে পড়ে। এর আগে ৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এলাকায় মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া দুটি গোলা পড়ে। তার আগে, ২৮ আগস্ট বিকেলে মিয়ানমার থেকে ছোড়া একটি মর্টার শেল অবিস্ফোরিত তুম্বুরুতে আঘাত হানে।
প্রসঙ্গত, এ দিকে মিয়ানমারের এমন ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন আমরা সর্বোচ্চ ধার্য ধারণ করছি। এ নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী জানিয়েছেন দরকার পড়লে আমরা জাতিসংঘের কাছে জানাবো।