আনিসুল হক হলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় আইনমন্ত্রী। এই সম্মানীয় পদে আসীন হবার পর থেকে তিনি সততা ও নিষ্ঠার সহিত তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসন থেকে তিনি সংসদসদস্য নির্বাচিত হন। সম্প্রতি জানা গেছে কারাগারে মুশতাকের প্রয়ান নিয়ে জানতে চেয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাগারে থাকা অবস্থায় মোশতাক আহমেদের প্রয়ানের বিষয়ে জানতে চেয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট। রোববার (১৪ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বিষয়টি উত্থাপন করেন।
বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বাকস্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও মোশতাক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রশিক্ষণ সম্পর্কে কথা বলুন। আরও অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, “হাইকমিশনার মোশতাকের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলেন এবং আমি উত্তর দেওয়ার পর আর কোনো প্রশ্ন করেননি।”
সংস্থাগুলোর কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের বিষয়টি জোরালোভাবে এসেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মানবাধিকার বিষয়ে সংস্থাগুলোর সদস্যদের প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিয়েছি। আমরা বললাম- আপনি প্রস্তাব পাঠান, আমরা বিবেচনা করব।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার যে মানবাধিকারকে গুরুত্ব দেয় তা আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেছি। কারণ, প্রধানমন্ত্রী নিজেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার। সেজন্য শেখ হাসিনার সরকার মানবাধিকার সমুন্নত রাখবে। আইনমন্ত্রী বলেন, আইনের লঙ্ঘন কীভাবে বন্ধ করা যায় সে বিষয়ে সরকার তৎপর থাকবে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সম্পর্কে হাইকমিশনারকেও অবহিত করা হয়েছে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি একটি টিম করেছি, যেখানে আইন সচিব সভাপতি এবং কমিটিতে পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র ও আইসিটি বিভাগের প্রতিনিধি রয়েছেন। ” কমিটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে হাইকমিশনার কার্যালয়ের সঙ্গে আলোচনা করছে এবং এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন বেরিয়েছে। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার সম্প্রতি এসেছেন বাংলাদেশে। তিনি এসে কারাগারে প্রয়াত মুশতাকের কথা জানতে চান। তবে আইনমন্ত্রী মিশেল ব্যাচেলেটকে বিষয়টি নিয়ে ভালোভাবে বুঝিয়ে বলার আকরণেও তিনি আর এই বিষয়টি নিয়ে জানতে চাননি।