মির্জা ফখরুল সাহেব নিথর দেহের একটা ছবি দেখাতে পারবেন : কাদের

আন্দোলনের নামে নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে বিএনপি। কিন্তু তাদের আন্দোলনে দেশের জনগন সাড়া দিচ্ছে না কারন জানে বিএনপি কখনো আর ক্ষমতায় পারবে না তারা জনগণের জন্য মায়া কান্না করছে। আওয়ামীলীগ সরকার এদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এ দেশের মানুষ আওয়ামীলীগকে আবার ভোট দিয়ে ক্ষমতায় আনবে। আগামী নির্বাচনেই খেলা ফাইনাল বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য করে যা বললেন আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের ‘খেলা হবে’ বাক্যটি এতটাই জনপ্রিয়তা পেয়েছে, যেকোনো রাজনৈতিক দলের নেতারা ‘খেলা’ শব্দটি নিয়ে এখন বক্তব্য দেন। আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা বটেই, বিএনপি নেতারাও বাদ দিতে পারেননি শব্দটি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও বিএনপি ফাইনাল খেলার কথা বলেছেন।

শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সম্মেলনে বিএনপির উদ্দেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে ফাইনাল খেলা হবে।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবের আন্দোলন আন্দোলন বলতে বলতে গলা শুকিয়ে গেছে। নেতাকর্মী ছাড়া বিএনপির সঙ্গে জনগণের কোনো যোগাযোগ নেই। আগামী নির্বাচনে ফাইনাল খেলা হবে। নির্বাচনের মাধ্যমেই সব সিদ্ধান্ত হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির মরা নদীতে জোয়ার আসবে না। বিএনপির আন্দোলন মানে নিজেদের মধ্যে মা/রামারি, চেয়ার ছোঁড়াছুঁড়ি।

নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গুলিতে বিএনপি কর্মী নি/হত হওয়ার বিষয়ে ইঙ্গিত করে আ. লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির বিক্ষোভ মানেই হচ্ছে পুলিশের ওপর হা/মলা। পুলিশ কি নিজেরা আত্মরক্ষা করবে না?

বিএনপির হাতে রক্তের দাগ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বিএনপি আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হ/ত্যা করেছে। আহসানউল্লাহ মাস্টার, কিবরিয়া, আ/ইভি রহমানকে হ/ত্যা করেছে। চট্টগ্রাম থেকে জিয়ার লাশ ঢাকায় আনা হয়েছে কিন্তু সেই লাশ কেউ দেখেনি। মির্জা ফখরুল সাহেব লাশের একটা ছবি দেখাতে পারবেন? পারবেন না।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হুসাইন পারভেজ ও সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হাকিম সম্রাট।

আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম, ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক উকর ভট্টাচার্য, সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক সরকার রেফাত সঞ্জয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক সম্পাদক আল-আমিন রহমান।

প্রসঙ্গত, বিএনপি নির্বাচন যেতে ভয় পাই আবার আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটাতে চায় সে সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনেই প্রমাণ হবে এদেশের জনগণ শেখ হাসিনাকে চায়া কিনা।