ওবায়দুল কাদের বাংলাদেশের খুব একজন সুপরিচিত ও ভালোবাসার মানুষ। তিনি হলেন গণপ্রতান্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মাননীয় সেতু ও সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী। এই সম্মানীয় পদে অধিষ্ঠিত হবার পর থেকে তিনি সততা ও নিষ্ঠার সহিত তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশের বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদে দায়িত্বরত রয়েছেন। সম্প্রতি ওবায়দুল কাদের তার এক বক্তব্যে বলেছেন বিএনপির আন্দোলনেও নেতা নেই, নির্বাচনেও নেতা নেই।
বিএনপি আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করবে, তবে তাদের আন্দোলনের নেতা কে এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আন্দোলনে বিএনপির নেতা নেই, নির্বাচনেও নেতা নেই। ”
তিনি আজ ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিবকে একথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিবকে প্রশ্ন করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘লন্ডন থেকে রিমোট কন্ট্রোল দিয়ে বাংলাদেশে পদ্মা-মেঘনা-যমুনার ঢেউ আসবে? তাদের চলাচলের গাছে তেল।
বিএনপি জাতীয় সরকার গঠন করবে কিন্তু সেই সরকারের নেতা কে তা কেউ জানে না উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল বড় কথা বলেন, ঢাল নেই, তলোয়ার নেই নিধিরাম সরদার’।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতো বাংলাদেশেও সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুঃস্বপ্ন দেখে লাভ নেই, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন জাদুঘরে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি যদি আবারও আন্দোলনের নামে অগ্নিসংযোগ ও সন্ত্রাস নিয়ে মাঠে নামে, তাহলে জনগণের কড়া জবাব দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ হামলা না করা পর্যন্ত হামলা করবে না, হামলা হলে জবাব দিতে প্রস্তুত’।
দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল দূর করতে হবে, দলের দুঃসময়ে ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে। আওয়ামী লীগে বসন্তের কোকিলকে নেতা করা যায় না। দল ঐক্যবদ্ধ না হলে নির্বাচনে কোনো সাফল্য আসবে না, তাই দলের ভেতরের কোন্দল দূর করা প্রয়োজন।
বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ রাজপথ থেকে এসেছে, রাজপথে আছে- যত খারাপ সময়ই আসুক না কেন, আওয়ামী লীগকে রাজপথে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।
ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ মালেকের সভাপতিত্বে, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ডা: আব্দুর রাজ্জাক, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চম্পা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. বেনজীর আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান ও ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সাকু।
প্রসঙ্গত, ওবায়দুল কাদের সেতু ও সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী হবার পর দেশের সড়ক ও সেতু খাতে অনেক উন্নতি হয়েছে। দেশে