মির্জা ফখরুল হলেন বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব। দীর্ঘদিন ধরে তিনি পদে নিয়োজিত থেকে সততা ও নিষ্ঠার সহিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার এক বক্তব্যে বলেছেন মাপের বাইরে জুতা কিনলে সেটা পায়ে দেওয়া সম্ভব হয় না।
সরকার এখন চোখে সর্ষে ফুল দেখছে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা বার বার বলেছি এমন কোনো প্রজেক্ট হাতে নেওয়া উচিত নয় যেটা আমরা চালাতে পারব না। আমরা ওই ধরনের জুতাই কেনা উচিত যে ধরনের জুতা আমি পরতে পারব, আমাদের পায়ের মাপের বাইরে জুতা কিনলে তা পা’য়ে দেয়া সম্ভব হয় না। আজকে তাই ঘটছে। এটার মূল্য দিতে হচ্ছে জনগণকে। আমি এর নিন্দা জানাচ্ছি এবং আমরা অবিলম্বে এই দুর্নীতির কারণে সরকারের পদত্যাগ দাবি করছি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেখা যাচ্ছে প্রায় ৭৮ হাজার কোটি টাকার দিতে হয়েছে কোনো বিদ্যুত উৎপাদন না করেই। এখন যে বলা হচ্ছে ৬টা ডিজেলচালিত বিদ্যুত কেন্দ্র বন্ধ থাকবে, বাকিগুলো কিন্তু পয়সা পেতেই থাকবে। এরা (ছয়টা)ও কিন্তু পয়সা পাবে। পত্রিকায় দেখেছি, ১৭৬০ কোটি টাকা বছরে তাদের জন্য গুনতে হবে। এতে প্রমাণিত শুধুমাত্র দুর্নীতি করার জন্য কোনো বিশেষ বিশেষ কম্পানিকে অর্থ বানানোর সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে তাতে নিজে উপকৃত হওয়ার কারণে এই কাজটা করেছে তারা।
তিনি বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে, প্রতিটা মেগা প্রজক্টে দুর্নীতির করার জন্য তারা (সরকার) জনগণের পকেট থেকে টাকা কেটে নিয়ে সেই টাকা প্রদান করা হচ্ছে সেটার দিকে তাদের কোনো নজর নেই। যার ফলে কী হয়েছে? আজকে যে সংকট তৈরি হয়েছে তার প্রধান কারণ দুর্নীতি।
ডিজেল চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত নির্ভর করে পোষাক শিল্পের ওপরে। সেই খাতে যখন বিদ্যুত ও জ্বালানি চাহিদার ঘাটতি হলে সমস্যা তৈরি হবে, পরিবহনে সমস্যা সৃষ্টি হবে। জ্বালানি তেল ও বিদ্যুত সম্পূর্ণভাবে অর্থনীতির সাথে ওতোপ্রতোভাবে জড়িত। সেখানে যখন রেশনিং সিস্টেম চালু করা হবে তখন কিন্তু উৎপাদনের হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে।
সংঘাত সহ দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেন (১৯ জুলাই) শক্তি গুলশানে চেয়ারপারসনের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আশঙ্কা প্রকাশ করেন। পরে গত পরভারভারপ্রাপ্ত অংশ তারেক রহমানের আত্মাত্ত্বে সম্ভাব্য সম্ভাব্য বৈঠকের বৈঠকের সিদ্ধান্তের সংবাদটি রিপোর্ট ধরেন মহাসচিব।
প্রসঙ্গত, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের প্রতি অনুগত থেকেই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এর পূর্বেও তিনি আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব পালন করেছেন। একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে অপরিসীম ভূমিকা রেখেছেন অনেক।