বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবদীন ফারুক বলেছেন, সরকার আজ বিএনপিকে অবহেলা করে কথা বলছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে আ.লীগের পায়ের নিচের মাটি সরে যাচ্ছে। মির্জা ফখরুল আপনার কাছে আমরা ক্ষমা চাই। জনগণ আমাদের সঙ্গে থাকলেও কেবল এ রাষ্ট্রযন্ত্রের জন্য কিছু করতে পারছি না। আমরা বিরোধীরা সৎ আছি, আমরা ন্যায়ের পথে আছি।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) প্রেসক্লাবের সামনে স্বাধীনতা ও অধিকার আন্দোলন আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জয়নাল আবদীন ফারুক বলেন, এই সরকার যদি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করত, তাহলে ২০১৪ সালে ১৫৪ জন প্রতিনিধিকে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচন করতো না। দিনের ভোট রাতে করতো না। যে নির্বাচন কমিশন দুই হাজার কোটি টাকা দিয়ে ডামি নির্বাচন উপহার দিয়েছে, সে নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনার ঘুমিয়ে ছিলেন। একেক সময় একেক কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, একদিকে তারা দাম নিয়ন্ত্রণের কথা বলেন, অন্যদিকে সিন্ডিকেট তৈরি করেন। সিন্ডিকেটের টাকায় কানাডায় বাড়ি বানিয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ ডিম কিনে খেতে পারে না। মাংস কিনতে পারে না। কিন্তু এসবের বিরুদ্ধে কথা বললে আগুন সন্ত্রাসের উপাধি দেওয়া হয়।
জয়নাল আবদিন ফারুক বলেন, এত বছর পার হলেও সাগর-রুনি হত্যার চার্জশিট তৈরি করতে পারেনি সরকার। তারা আইনের শাসন, স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলে। কিন্তু এখন মানুষ ভয়ে ঘরে ঘুমাতে পারে না। আজ যারা মেগা প্রকল্পের নামে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করছে তাদের পদত্যাগ করা উচিত।
স্বাধীনতা আন্দোলনের সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান মনির ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আলম সোহেলের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাছের মুহাম্মাদ রহমতুল্লাহ, কৃষক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম, কৃষক দলের ধর্মীয় সম্পাদক কাদের সিদ্দিকী, ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন ভুঁইয়া প্রমুখ।