আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী ৪ নভেম্বর ঢাকায় মেট্রোরেল উদ্বোধনে সর্বকালের সেরা মহাসমাবেশ হবে। মেট্রোরেল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুলকে আমন্ত্রণ রইলো। বিএনপির প্রতি ওবায়দুল কাদেরের প্রশ্ন, আর কত দিন দেবেন? আমি বলি, আমাদের সময় নেই। মেট্রোরেল উদ্বোধনে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আপনি কোনো মেগা প্রজেক্ট করেননি। চুরি করে দেশের সম্পদ লুটপাট, মানি লন্ডারিং করেছেন।
শনিবার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরের পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু টানেলের মহাযাত্রা শুরু হবে। আগামী ২৮ অক্টোবর বিকেলে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ক্ষমতার পরিবর্তন চায়। নির্বাচন পরিচালনা করবে সংবিধান।তাহলে হুমকিধমকি কেন দিচ্ছে? বিএনপি মহারথের হাঁকডাক শুরু করেছে। শ্রমিকদের মিথ্যে আশ্বাস দিচ্ছে, তাদের অবস্থা হবে ১০ ডিসেম্বরের মতো।
ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজনৈতিক অঙ্গন অস্থিতিশীল। মানুষ ভবিষ্যৎ নিয়ে ভীত। যারা সন্ত্রাস করতে চায় তাদের অসুরের মতোই বধ করতে হবে।।
সেতুমন্ত্রী বলেন, অশুভ শক্তি অশান্তি ডেকে আনছে, তাদের বধ করতে হবে। রাজনীতির অশুভ শক্তিকেও বধ করতে হবে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে যাতে উৎসবটি শান্তিপূর্ণ হয়, যাতে ২০০১ এর পুনরাবৃত্তি না হয়। শেখ হাসিনা ছাড়া সংখ্যালঘুদের আর কোনও আপনজন নেই। আমরা আপনাদের পাশে আছি, ছিলাম এবং থাকব।
তিনি বলেন, পরিবেশ আমাদের অনুকূলে নেই। দেবীর ঘোটকে আগমনের বার্তা বিশ্বজুড়ে দেখা যাচ্ছে। যারা সন্ত্রাস করতে চায় তাদের অসুরের মত বধ উচিত।
ওবায়দুল কাদের বলেন, অস্তিত্বের লড়াইয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান- শেখ হাসিনা ছাড়া সংখ্যালঘুদের কেউ নেই। সকল উৎসবের মধ্যে দুর্গাপূজা সবচেয়ে বড়। শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপন পর্যবেক্ষণ করছেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা দেশের জন্য এক অনন্য সৃষ্টি। সারা বিশ্বে বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনি মৃত্যুর পরেও বেঁচে থাকবেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সদস্য নির্মল কুমার চ্যাটার্জি, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জেএল ভৌমিক, মহানগর সার্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি মানন্দ্রী কুমার নাথ প্রমুখ।