মির্জা আব্বাস হলেন বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপির একজন সক্রিয় রাজনীতিবীদ। তিনি বিএনপির দলের সমর্থন করে একাধারে রাজনীতি করে গেছেন এবং মির্জা আব্বাস অবিভক্ত ঢাকার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন যতবারই নিরেপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে ততবারই বিএনপি ক্ষমতায় এসেছে।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মেয়র মির্জা আব্বাস বলেছেন, যতবারই নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে ততবারই বিএনপি ক্ষমতায় এসেছে। তিনি বলেন, হাসিনা না থাকলে বিএনপি আগামী নির্বাচনে যাবে, হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না।
সোমবার (৪ জুলাই, ২০২২) দুপুরে খিলগাঁও থানাধীন ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডে বিএনপির সম্মেলনে সাবেক মেয়র, মন্ত্রী ও বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ যখন ভোট দেয়ার সুযোগ পেয়েছে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছেন। তিনি নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে বলেন, যে নির্বাচন কমিশন কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে একজন বিনা ভোটের সাংসদকে সামাল দিতে পারে না সেই কমিশন জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ জন ভোট ডাকাতকে কিভাবে সামলাবেন ?
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর তথাকথিত ছাত্রলীগের হামলা এবং ফেনী, সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী স/ন্ত্রাসীদের হা/মলা ও ত্রাণ কার্যক্রমে বাধা দেয়ার প্রতিবাদে মির্জা আব্বাস প্রতিবাদ জানান। বিএনপি গুন্ডামী করে না, স/ন্ত্রাস করে না, কিন্তু আঘাত যদি আসে পাল্টা আঘাত করতে দ্বিধা করে না।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও খিলগাঁও থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইউনুস মৃধা। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন খোকন, লিটন মাহমুদ, সদস্য অ্যাডভোকেট ফারুক উল ইসলাম, জামিলুর রহমান নয়ন, সাইফুল্লাহ খালিদ রাজনসহ মহানগর ও স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে বলেন, দেশের মানুষ যখন পানিতে ভাসছে, তখন তিনি সংসদে, পদ্মা সেতুতে গানের আয়োজন করেছেন। তিনি বা তার সরকার বা দল দুস্থ মানুষের পাশে নেই। মানুষ ত্রাণ পাচ্ছে না কিন্তু পদ্মা সেতুতে এসে শৌচাগার নির্মাণ করে কোটি কোটি টাকা অপচয় করেছেন তার দলের নেতা-কর্মীদের জন্য। আবদুস সালাম বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানসহ দলীয় নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবি জানান।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু নেতা-কর্মীদের সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু শেখ হাসিনা সেই গণতন্ত্রকে প্রাণনাশ করেছেন, বাধ্যতামূলক সাজা দিয়ে আমাদের নেত্রীকে মিথ্যা মামলায় আটকে রেখেছেন। গণতন্ত্র ও ‘গণতন্ত্রের মা’ বেগম খালেদা জিয়াকে আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করতে হবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে প্রত্যেকবারের মত এবারো সুষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হোক তেমনটি আশা করছেন বাংলার সাধারণ মানুষ। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমেই দেশে আবারো আসবো জনগনের সরকার।