আকাশ থেকে হঠাৎ সন্দেহ জনক বিমান ও হেলিকপ্টারের মোড়া লক্ষ করে এলাকাবাসী। তারা দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশের আকাশে উড়তে থাকে। সন্দেহ জনক বুঝে এক ব্যক্তি ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে। তার কয়েক ঘণ্টা পরে এক সংবাদ মাধ্যম প্রকাশ করেন।
মিয়ানমারের যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া দুটি গোলা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবতরণ করেছে। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এলাকায় দুটি গুলিবিদ্ধ হয়।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার (এসপি) তারিকুল ইসলাম তারিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে এবং সেখানে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে রোববার (২৮ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে ঘুমধুমের তমব্রু নর্থ মসজিদের কাছে মিয়ানমার থেকে ছোড়া দুটি মর্টার শেল অবিস্ফোরিত হয়ে পড়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেনাবাহিনীর দুটি যুদ্ধবিমান ও দুটি ফাইটিং হেলিকপ্টার নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তের রেজু আমতলী বিজিবি বিওপি, সীমান্ত পিলার ৪০-৪১ এর মধ্যে মিয়ানমার সীমান্তে টহল দেয়। এ সময় তাদের যুদ্ধবিমান থেকে প্রায় ৮ থেকে ১০টি গোলা নিক্ষেপ করা হয়। এছাড়া হেলিকপ্টার থেকে আনুমানিক ৩০ থেকে ৩৫টি গুলি ছোড়া হয়। এ সময় যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া দুটি শেল সীমান্ত পিলার ৪০ বরাবর বাংলাদেশের প্রায় ১২০ মিটার ভেতরে পড়ে।
এদিকে স্থানীয়রা জানায়, নাইক্ষ্যংছড়ির ১নং ওয়ার্ডের তুম্বুরু বিজিবি বিওপির ৩৪-৩৫ সীমানা পিলারের মাঝখানে মিয়ানমার অংশের মাঝখানে ২-বিজিপির তমব্রু রাইট ক্যাম্প থেকে চার রাউন্ড ভারী অস্ত্রের গুলি ছোড়া হয়। মায়ানমারের মুরিঙ্গাঝিরি ক্যাম্প ও তমব্রু রাইট ক্যাম্প থেকে এখনও বিরতিহীন মর্টার গোলা চলছে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছে স্থানীয়রা।
ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, তুমব্রু সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির ঘটনায় রোববার দুটি ও বৃহস্পতিবার একটি মর্টার শেল সীমান্তের ওপারে পড়েছে। আজ সকালে আবারও দুটি বিমান গুলি ছুড়ে মাটিতে পড়ে। এ ছাড়া গতকাল থেকে সীমান্তে দুটি হেলিকপ্টার টহল দিতে দেখা গেছে।এতে রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে বলে জানান তিনি।
এই ঘটনাটিকে অনেকে মনে করছেন মায়ানমার বাংলাদেশেকে তাদের সাথে যুদ্ধের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে। তবে এই কথার কোন ভিত্তি আছে কিনা তার অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে গোয়েন্দা বিভাগ ও সেনাবাহিনী। এমনকি ঘটনা স্থলটি কড়া নজর দারিতে রেখেছেন তারা।