দক্ষিণের সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় এবং বড় এক সুপারস্টার এর নাম হলো থালাপতি বিজয়। তার সিনিয়র ক্যারিয়ার বেশ বর্ণাড্যময়। শুধু তাই নয়।ভারতের তামিল সুপারস্টার থালাপতি বিজয় ও তার স্ত্রী সঙ্গীতার প্রেম কাহিনি সিনেমার চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়।
১৯৯৬ সালে, ইউকে প্রবাসী সঙ্গীতা সোর্নালিঙ্গম নামে একজন ভক্ত চেন্নাইতে একটি সিনেমার শুটিং করার সময় বিজয়ের সাথে দেখা করতে আসেন। বিজয়ের মুভি পুভে উনাক্কাগা মুক্তি পায় ওই বছরের ফেব্রুয়ারিতে। সেই মিটিংয়ে, মুভিতে তার অভিনয়ের প্রশংসা এবং সঙ্গীতার সাথে দেখা করার প্রচেষ্টার কথা জানতে পেরে বিজয় খুব মুগ্ধ হয়েছিলেন।
ওই বৈঠকেই সঙ্গীতা বিজয়কে পরের দিন তার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে বলেন। তারপর ধীরে ধীরে তারা একে অপরকে পছন্দ করতে শুরু করে।
তাদের বাবা-মা দুজনেই তাদের সম্পর্কের ব্যাপারে একমত। এরপর ১৯৯৯ সালের ২৫ আগস্ট হিন্দু ও খ্রিস্টান রীতিতে গাঁটছড়া বাঁধেন তারা। প্রায় ২৩ বছর ধরে তাদের বিয়ে হয়েছে। এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
বিজয়-সঙ্গিতা পারিবারিক বিষয়গুলো খুব একটা প্রকাশ্যে আনেন না। তবে দক্ষিণী তারকাদের মধ্যে ভক্তদের অন্যতম প্রিয় জুটি তারা। কিন্তু হঠাৎ করেই কয়েকদিন ধরে নেট দুনিয়া ও কিছু রিপোর্টে ভাঙছে বিজয়ের সংসার!
আসলেই কি তাই? বিজয়ের উইকিপিডিয়া পৃষ্ঠাকে কেন্দ্র করে গুজব শুরু হয়। সেখানে বলা হয় যে তিনি এবং তার স্ত্রী পারস্পরিক সম্মতিতে বিবাহবিচ্ছেদ করছেন। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কারণ উইকিপিডিয়া পেজ এমন কিছু বলে না।
পিঙ্কভিলার রিপোর্ট অনুযায়ী, অভিনেতার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, ‘বিজয় ও সঙ্গীতার বিবাহবিচ্ছেদের গুজব ভিত্তিহীন। আমরা জানি না এটা কিভাবে শুরু হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, এদিকে এখন এই দম্পতির বিচ্ছেদ নিয়ে এখন উত্তাল মিডিয়া পাড়া। তাদের নিয়ে বেশ নিউজ করতে শুরু করেছে সাংবাদিকরা। পিঙ্কভিলার মতে, দুটি ঘটনা বিবাহবিচ্ছেদের গুজবকে উস্কে দিয়েছে। সঙ্গীতা তার আসন্ন সিনেমা ভারিসুর অডিও লঞ্চে তার সাথে ছিলেন না। দক্ষিণী প্রযোজক অ্যাটলির স্ত্রী প্রিয়ার বেবি শাওয়ারেও অংশ নিতে পারছেন না তারা। আর তাদের একসঙ্গে না দেখে এমনটাই জানিয়েছেন নেটিজেনরা। তবে এই মুহূর্তে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটাচ্ছেন বিজয়।