টলিউড ও বলিউড এই দুই বিনোদন জগতে এক সময় জনপ্রিয় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী তার অভিনয় নৈপূন্যতা দিয়ে রাজত্ব গড়েন। তিনি তার প্রথম ক্যারিয়ারের প্রথম ছবি ‘মৃগয়া’য় অভিনয়ের জন্য জাতীয় পুরস্কার জিতে নেন। সত্তরের দশকে তিনি আস্তে আস্তে ‘স্টার’ এর তকমা পেতে আরম্ভ করেন। আশির দশকে গিয়ে তিনি বলিউডে রাজত্ব করেন। তবে এই তারকা অভিনেতার বলিউড যাত্রা খুব একটা মসৃণ ছিল না, ছিল বন্ধুর। সাফল্য পাওয়ার জন্য তাকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল।
একটি সাক্ষাত্কারে মিঠুন বলেছিলেন যে, বলিউডে তার সংগ্রাম ছিল খুবই ‘হতাশাজনক’। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি এটা নিয়ে কথা বলে সবাইকে হতাশ করতে চাই না।
মিঠুন জানিয়েছিলেন, ‘আমি কারও নাম নিতে চাই না। এটা তখনকার কথা যখন বলিউডে নিজের একটা জায়গা তৈরি করার চেষ্টা চালাচ্ছি। তখন কানে আসতো অনেক নায়িকাই আমার সঙ্গে কাজ করতে চাইতো না। কারণ অন্যান্য নায়করা চাইতো না সেই সব নায়িকারা আমার সঙ্গে কাজ করুক। অনেক বাধা এসেছে।’
তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘আমি শুধু ভাবতাম, আমার মধ্যে যদি প্রতিভা থাকে কেউ আমায় আটকাতে পারবে না। একদিন এরাই আসবে আমার সঙ্গে কাজ করতে। আমি ভাবতাম আমার মধ্যেই হয়তো কোনো খামতি আছে। নিজেকে আরও ভালো করে তৈরি করার জেদ আমার মনে চেপে বসতো।’
উল্লেখ্য, মিঠুন চক্রবর্তী আর্ট হাউস ড্রামা মৃগয়া দিয়ে তার অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন, যার জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জন্য তার প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতেছিলেন। চক্রবর্তী ১৯৮২ সালের ডিস্কো ড্যান্সার চলচ্চিত্রে জিমির ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন, যেটি ভারত এবং সোভিয়েত ইউনিয়নে বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়েছিল। ডিস্কো ড্যান্সার ছাড়াও, মিঠুন চক্রবর্তীকে সুরক্ষা, সাহস, ওয়ারদাত, ওয়ান্টেড, বক্সার, পেয়ার ঝুকতা নেহি, পেয়ারি বেহনা, অবিনাশ, প্রেম প্রতিজ্ঞা, মুজারিম, অগ্নিপথ, দ্য ডন এর মতো অনেক অনেক ব্যবসা সফল ছবিতে অভিনয়ের জন্যও প্রশংসিত হন।