আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে দেশের অন্যতম প্রধান দুই রাজনৈতিক দল বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ পরস্পরের বিরুদ্ধে বিষোদাগর করে যাচ্ছে। একদিকে আ.লীগ দেশের উন্নয়নকে বারবার তাদের বক্তৃতায় তুলে ধরছে, অন্যদিকে বিএনপি আ.লীগকে গণতন্ত্র হরণকারী এবং দেশের মানুষের ভোটাধিকার হরণকারী হিসেবে উল্লেখ করে সমালোচনা করছে। এদিকে বিএনপি বিভিন্ন সময়ে যে ভয়াবহ কর্মকান্ড ঘটিয়েছে সে বিষয় নিয়ে সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মিটিং, মিছিল, আন্দোলন করলে আপত্তি নেই। কিন্তু আন্দোলনের নামে আন্দোলনের নামে মানুষের ওপর হামলা করলে একটাকেও ছাড়ব না।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের উন্নয়নই আমাদের লক্ষ্য। অথচ, বিএনপি কী করেছে? বাংলাদেশে এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে তারা নির্যা”/তন করেনি। একই সঙ্গে খারাপ কাজের শিকার হন মা ও মেয়ে। বিএনপির দুঃশাসন ও সন্ত্রা”/সের কারণে মানুষ শান্তিতে থাকতে পারেনি। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে অত্যা”চার চালিয়েছে, সেভাবে দেশের মানুষের ওপর অত্যা”চার অব্যাহত রেখেছে। ২১ আগস্ট গ্রে”/নেড হামলা করলো। আমাদের নেতাকর্মী, মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রীদেরকে হ”/ত্যা করেছে। বিএনপি-জামায়াত এমন জঘন্য কাজ করতে পারে, যা কল্পনাতীত।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান, এরা সবাই খু”/নি। দেশে রাজনীতি করার অধিকার তাদের কি আছে? মানুষের কল্যাণে তারা কী কাজ করবে?
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমরা সন্ত্রা”/স চাই না। আমরা মানুষ ও দেশের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা দেশের মানুষের কল্যাণ চাই, এটাই আমাদের লক্ষ্য। আমরা সেভাবেই কাজ করছি।
মহিলা আওয়ামী লীগের নতুন সভাপতি হিসেবে মেহের আফরোজ চুমকি এবং সাধারণ সম্পাদক পদে শবনম জাহান শীলার নাম ঘোষণা করা হয়।
এর আগে শনিবার দুপুর আড়াইটায় সম্মেলনস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর তিনি জাতীয় সংগীতের পাশাপাশি জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
সর্বশেষ ২০১৭ সালের ৪ মার্চ পঞ্চম জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন সাফিয়া খাতুন এবং সাধারণ সম্পাদক হন মাহমুদা বেগম। সংবিধান অনুযায়ী প্রতি তিন বছর অন্তর সম্মেলন হওয়ার কথা থাকলেও বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগের পরিস্থিতির কারণে প্রায় পাঁচ বছর পর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ বিভিন্নভাবে নির্বাচন নিয়ে সমালোচনায় পড়লেও দেশের উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন ঘটিয়েছে, যেটা অনেকেই স্বীকার করে থাকেন। তবে বর্তমান সময়ে এসে দেশের মানুষ দ্রব্যমূল্যস্ফীতির চাপে পড়ে ব্যাপক সংকটময় অবস্থায় রয়েছে। তবে আ.লীগ সরকার এই সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য নানা ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে।