বাংলাদেশের বিনোদন জগতের সুপরিচিত এবং জনপ্রিয় চেনা মুখ মোশাররফ করিম। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশের বিনোদন অঙ্গনে কাজ করছেন। এবং অভিনয় করেছেন অসংখ্য নাটকে। এমনকি নাটকের পাশাপাশি তিনি সিনেমা এবং বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছেন। তার অভিনীত প্রথম নাটক “অতিথি” এবং সিনেমা “জয়যাত্রা”। বর্তমান সময়েও তিনি কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সকল ব্যস্ততার মধ্যে দিয়েই তার সঙ্গে হলো বেশ কিছু কথোপকথন।
পারিবারিক কাজে মোশাররফ করিম এখন কলকাতায়। আজ থেকে বাংলাভিশনে শুরু হচ্ছে তাঁর অভিনীত নতুন ধারাবাহিক নাটক বউ দৌড়।
কলকাতায় গেলেন কবে?
দুই সপ্তাহ আগে। আরও কিছুদিন থাকতে হবে।
ধারাবাহিক নাটক ‘বউ দৌড়’ শুরু হচ্ছে। কবে, কোথায় এর শুটিং করেছিলেন?
মাস চারেক আগে পুবাইলের চটের আগা নামের একটি জায়গায় শুটিং করেছিলাম। সেকেন্ড লটের শুটিং সম্ভবত আগামী মাসে শুরু হবে। দর্শকেরা একটি ভালো মানের নাটক দেখতে পাবেন।
দর্শক এই নাটক কেন দেখতে আগ্রহী হবেন?
এই নাটকে নারীর ক্ষমতায়ন টপিকটা গুরুত্ব পেয়েছে। নাটকের গল্পে নারী–পুরুষের একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার ইতিবাচক একটি ব্যাপার আছে।
আপনার ভাই শামস করিম নাটকটির পরিচালক। ভাইয়ের পরিচালনায় কাজ করতে কেমন লাগল?
ডিরেকশনের সময় সে ভাই না কে এটা তো আর মাথায় থাকে না। তখন সে ডিরেক্টর, আমি অ্যাক্টর। ওর সবচেয়ে বড় বেশিষ্ট্য হচ্ছে, কাজের ক্ষেত্রে সে ভীষণ লজিক্যাল। এর আগে তার সঙ্গে সিঙ্গেল নাটকে কাজ করেছি। সেগুলো দর্শক ভালোভাবেই গ্রহণ করেছে। তার সঙ্গে ধারাবাহিক নাটক এবারই প্রথম করছি। দেখা গেছে, কোনো দৃশ্যে অভিনয়ে হয়তো চমক আছে, যা দর্শকের নজরে পড়বে—কিন্তু সেই অভিনয়টা যদি লজিক্যাল না হয়, সে কোনোভাবেই করে না, সেটা যতই চমকপ্রদ হোক।
নারী–পুরুষের সমানভাবে এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটা আপনার পরিবারে কীভাবে কাজ করে?
আমার বাবা বেশ উন্মুক্তমনা মানুষ ছিলেন। মা যদিও গৃহিণী ছিলেন, কিন্তু কনজারভেটিব ছিলেন না। আমার ক্ষেত্রেও তাই। আমি আসলে মানুষের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি, যে স্বাধীনতা অন্যের ক্ষতি না করে। যেটা ক্ষতি করে, সেটা তো স্বাধীনতা না, সেটা হচ্ছে স্বেচ্ছাচারিতা। স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বাধীনতার মধ্যে পার্থক্য আছে।
কলকাতায় নতুন একটি সিনেমার শুটিংয়ের কথা ছিল। সেটার খবর কী?
ব্রাত্য বসুর যে সিনেমার ব্যাপারে কথা হয়েছিল, সেটি এই মুহূর্তে এগোচ্ছে না। তবে আজ (রোববার) রাতে অন্য প্রযোজক ও পরিচালকের সঙ্গে নতুন একটি সিনেমার ব্যাপারে কথা হবে।
‘বকুল ফুল’–এ কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
এটা তো দারুণ অভিজ্ঞতা। পরিচালক, অভিনয়শিল্পী, ডিওপি থেকে শুরু করে সবাই খুব পরিশ্রম করেছি। শরাফ আহমেদ তো বরাবরই ভীষণ খুঁতখুঁতে। আমি সাধারণত পুরো নাটক বা সিনেমা না দেখে কোনো মন্তব্য করি না। কিন্তু বকুল ফুল–এর কয়েক মিনিটের ফুটেজ পাঠাল, দেখে আমি মুগ্ধ। চরকির সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতাও দারুণ।
ওয়েবের কারণে টেলিভিশনের প্রোডাকশন কি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে?
আমি তেমন মনে করছি না। তবে টেলিভিশনে মানুষ দীর্ঘকাল বিনা পয়সায় নাটক–সিনেমা দেখে আসছে। তাই দুটির ধরন দুই রকম। তবে ব্যাপার হচ্ছে, মানুষ যখন বেটার কিছুর স্বাদ পাবে, তখন সেদিকে অগ্রসর হবে।
মোশাররফ করিম তার অভিনীত নাটক এবং সিনেমার মধ্যে দিয়ে দর্শক মনে জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছে। তার অভিনীত নাটক এবং সিনেমা গুলো দর্শক মাঝে ব্যপক সাড়া ফেলেছে। তিনি তার কাজের মধ্যে দিয়ে অর্জন করেছেন ব্যপক সফলতা এবং সম্মাননা। দেশ জুড়েই তার রয়েছে বিপুল জনপ্রিয়তা এবং অসংখ্য ভক্ত-অনুরাগী।