পাঁচ ফিলিস্তিনি নারীকে জোরপূর্বক বিবস্ত্র করে তল্লাশি করার বর্বর ঘটনার জন্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের সহকারী মুখপাত্র ফারহান হক বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান।
ফারহান হক বলেন, ইসরায়েলি সেনারা যদি এটা করে থাকে তাহলে তারা চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।
এদিকে জর্ডানের সংসদ সদস্যরা এই জঘন্য ঘটনার প্রতিবাদে ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের আহ্বান জানিয়েছেন।
দেশটির ৫৯ জন সংসদ সদস্য এক যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, জর্ডান থেকে ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের পাশাপাশি তেলআবিবে নিযুক্ত জর্ডানের রাষ্ট্রদূতকেও দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জর্ডানের জনগণ ফিলিস্তিনি মা-বোনদের সম্মানকে তাদের নিজেদের মা-বোনের সম্মান বলে মনে করে। এটি তাদের জন্য একটি লাল রেখা। মা-বোনের সম্ভ্রমহানি কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।
জর্ডানের ১৩০ সদস্যের সংসদের ৫৯ জন সদস্য স্পষ্টভাবে বলেছেন যে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর নীরবতার কারণে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী ও সরকার এ ধরনের জঘন্য কাজ করতে দ্বিধা করছে না। বিবৃতিতে বলা হয়, দখলদার বাহিনী কোনো ধরনের আন্তর্জাতিক আইনের তোয়াক্কা করে না।
অধিকৃত ফিলিস্তিনি পশ্চিম তীরের হেবরন শহরের একটি বাড়িতে, ইসরাইলি নারী সেনারা ফিলিস্তিনি নারীদের বিবস্ত্র করে তল্লাশির মতো ঘৃণ্য অপরাধ করেছে। দুই সৈন্য একটি ৫৩ বছর বয়সী মা, তার ১৭ বছর বয়সী মেয়ে এবং তিন ছেলের স্ত্রীকে একটি আলাদা ঘরে নিয়ে যায় এবং তাদের তল্লাশি করে।
দুই নারী ইসরায়েলি সেনার কাছে রাইফেল ও কুকুর ছিল। ইসরায়েলি সৈন্যরা পাঁচ ফিলিস্তিনি মহিলাকে গু/লি করার হু/মকি দেয় এবং যদি তারা পোশাক খুলতে অস্বীকার করে তবে তাদের উপর কুকুর লেলিয়ে দেবে। এর আগে ইসরায়েলি পুরুষ সেনারা পোশাক পরা অবস্থায় ফিলিস্তিনি নারীদের দেহ তল্লাশি করে।