বাবা এবং মেয়ের সম্পর্কের কাছে পৃথিবির অন্য সকল সম্পর্ক হার মনে যায়। তবে সেই বাবা যদি রক্ষক হয়ে ভক্ষকের কাজ করে তাহলে সেটা হবে পৃথিবিতে ঘটে যাওয়া সব থেকে অবিচারের উর্দ্ধে। সম্প্রতি একটি ঘটনায় মেয়ের সাথে জোর করে খারাপ কাজ করেছেন বাবা। তবে তিনি ও মেয়ের আসল বাবা নন। ওই ভুক্তভোগী মেয়ের মায়ের দ্বিতীয় বিয়ে করা স্বামী।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে মায়ের অনুপস্থিতিতে ১৩ বছরের এক কিশোরীকে একাধিকবার ধ/ র্ষণের অভিযোগ উঠেছে সৎ বাবার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত সৎ বাবা মো. আইয়ুবকে (৪২) আটক করেছে পুলিশ। বুধবার বিকেলে কর্ণফুলী থানার ওসি দুলাল মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কিশোরীর মায়ের দায়ের করা মামলায় সৎ বাবাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃত মো. আইয়ুব (৪২) পটিয়া উপজেলার জিরি ইউনিয়নের মৃত আইনজীবী আহমেদের ছেলে।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ধ/ র্ষিতার বাবার মৃ/ ত্যুর পর তার মা মো. আইয়ুবকে বিয়ে করেন। আগের পরিবারের তিন মেয়ের মধ্যে দুই মেয়ে দাদির সঙ্গে বাবার বাড়িতে থাকে। দ্বিতীয় পরিবারে সে তার ছোট মেয়ে ও বোনকে নিয়ে উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের খুইদর্তে একটি ভাড়া বাসায় তার মা আইয়ুবের সাথে থাকে। মেয়েটির মা ও খালা স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন।
গত শুক্রবার সকালে কিশোরীর মা তার মেয়ে ও বোনকে বাড়িতে রেখে পোশাক কারখানায় কাজে যান। দুপুর ১টার দিকে মেয়ের খালা ওষুধ আনতে ফার্মেসিতে যান। এ সুযোগে অভিযুক্ত আইয়ুব মেয়েকে ধ/ র্ষণ করে। দুপুর দেড়টার দিকে ওই কিশোরের খালা ফার্মেসি থেকে বাসায় ফিরে ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ দেখে চিৎকার করলেও কোনো সাড়া পাননি। একপর্যায়ে আইয়ুব দরজা খুলে দ্রুত ঘর থেকে বেরিয়ে যায়। পরে মেয়েটি তার খালাকে জানায়, আইয়ুবক আমাকে হ/ ত্যার হু/ মকি দিয়ে ধ/ র্ষণ করেছে। রাত ৮টার দিকে মেয়েটির মা বাড়ি ফিরলে নি/ র্যাতিতার খালা ঘটনাটি মেয়েটির মাকে জানায়।
এ সময় মেয়েটি আরও জানায়, গত দুই বছরে তার মা ও খালা পোশাক কারখানায় গেলে আইয়ুব তাকে একাধিকবার ধ/ র্ষণ করে। আইয়ুব এ ঘটনা জানালে ক্ষতি করার হু/ মকিও দেন। ঘটনার চারদিন পর সোমবার মেয়েটির মা বাদী হয়ে কর্ণফুলী থানায় মামলা করেন। পরে রাতেই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।
ধ/ র্ষিতার মা জানান, মেয়ের সঙ্গে এমন কাজ করতে পারেন তা ভাবতেও পারেননি তার স্বামী। তিনি আরও বলেন, আইয়ুবের হুমকির ভয়ে তারা পুলিশের কাছে যেতে পারেননি। কর্ণফুলী থানার ওসি দুলাল মাহমুদ জানান, মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে সৎ বাবাকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। ওই কিশোরকে পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে এবং ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা নিতে বলা হয়েছে। ওসি আরও জানান, আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।