বিবাহ কোলাহল ছেড়ে নতুন স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় স্ত্রীর এরপরে সাঈদ নামক এক যুবকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার একপর্যায়ে সেই যুবককে বিয়ে করেন তিনি । ওই গৃহবধূর আগের ঘরের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে । সাঈদ মামুন নামক দ্বিতীয় সেই স্বামীর নজর পড়ে তার বিবাহিত স্ত্রীর আগের ঘরের দুই মেয়ের উপর। একে একে দুই মেয়ের সাথে খারাপ কাজ করেন তিনি।
এ ঘটনায় সাইদ হৃদয় (২৪) নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার মধ্যরাতে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আটক হৃদয় বাগেরহাট জেলা সদরের সুন্দর ঘোনা গ্রামের ইমান সৈয়দের ছেলে। যশোর সদর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের এক নারীকে বিয়ে করে সেখানেই থাকতেন তিনি। মহিলার আগের পক্ষ থেকে দুটি মেয়ে রয়েছে।
হৃদয়ের স্ত্রী বলেন, ‘খুলনায় প্রোজেক্ট ফুডে কাজ করতাম। ওই ফুড কোম্পানির অফিস পিয়ন ছিলেন ইসমত সাঈদ হৃদয়। সে আমার প্রেমে পড়ে, তারপর বিয়ে করে। আমার আগের সঙ্গীর থেকে আমার ১৭ এবং ১৫ বছর বয়সী দুটি মেয়ে রয়েছে। আমি বাহাদুরপুর বাঁশতলার একটি বাড়িতে আমার হৃদয় এবং মেয়েদের নিয়ে থাকি। আর হৃদিয়া যশোর শহরে ইজিবাইক চালাতেন। আমার অজান্তেই আমার মনের কুদৃষ্টি পড়ে আমার আগের বাড়ির দুই মেয়ের ওপর।
তিনি আরও বলেন, ওই দুই ছাত্রীকে ফাঁদে ফেলে কয়েকবার তাদরে সাথে শারিরিক সম্পর্ক করা হয়। এবং মোবাইল ফোনে সেই ছবি তুলে কাউকে না বলার হু/ মকি দেন। অবশেষে আমার বড় মেয়েকে জোর করে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে ন/গ্ন ছবি দেখিয়ে জোর করে বিয়ে করে। সব কিছু জানার পর কোতয়ালী থানার পুলিশ হৃদয়কে আটক করে মেয়েটিকে উদ্ধার করে যশোরে নিয়ে আসে।
তিনি হৃদয়কে প্রকাশ্যে ফাঁ/সি দেওয়ার দাবি জানান। নি/ র্যাতিতা মেয়েটির অভিযোগ, সে সবসময় আমাকে কিছু না কিছু খাওয়ায় এবং অজ্ঞান করে দেয়। হৃদিয়া আমার ছোট বোনের সাথেও খারাপ কাজ করেছে। কোতয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুজ্জামান জানান, এসআই মতিয়ার রহমান ঢাকার বাড্ডা থেকে ইসমত সাইদ হৃদয়কে আটক করেন। ভিকটিমকেও উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় এলাকাবাসী জানিয়েছেন মা মেয়েকে বিয়ে এবং ছোট মেয়ের সাথেও খারাপ কাজ করতে ছাড়েনি সাইফ এমন ঘটনা আসলেই বিরল ও নিন্দনীয় আমরা সাইদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।