Saturday , November 23 2024
Breaking News
Home / Countrywide / মা আমি অসহায়, দুই সপ্তাহ ধরে ঘুমাতে পারছি না: প্রধানমন্ত্রীকে চাকরিচ্যুত শরীফ

মা আমি অসহায়, দুই সপ্তাহ ধরে ঘুমাতে পারছি না: প্রধানমন্ত্রীকে চাকরিচ্যুত শরীফ

সদ্য চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়া দুদক কর্মকর্তা মো. শরীফ উদ্দিন ( Md. Sharif Uddin ) বলেছেন তিনি এক প্রকার অন্যায়ের শিকার হয়েছেন। তিনি তার পরিবার-পরিজনকে নিয়ে বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। রাষ্ট্রের নিকট আশ্রয় চেয়েছেন তিনি ও তার পরিবার। ‍তিনি অন্যায় ও জুু’/লুমের শিকার হয়েছেন। তাকে সাংবিধানিক অধিকার থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে বলেও দাবি জানান। চাকরিতে পুনর্বহালের জন্য তিনি সরকারের ( government ) বিভিন্ন মহলে ছুটে বেড়াচ্ছেন।

মঙ্গলবার (১ মার্চ) দুদকের ( ACC ) প্রধান কার্যালয়ে বিভাগীয় মামলা উপস্থাপন করতে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা ব্যক্ত করেন শরীফ উদ্দিন।

শরীফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। সে ব্যাপারে একটা মিশন-ভিশন আছে। সেই মিশন-ভিশন বাস্তবায়ন করতে গিয়ে প্রভাবশালীদের ওপর ক্ষি’প্ত হয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ মনোযোগ, দুদকের ( ACC ) সহকর্মী, গণমাধ্যম ও জনগণের দোয়ায় আমি আত্মগোপন থেকে মুক্তি পেয়েছি।

প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমার মা। মা, আমি অসহায়। পরিবার ও সন্তান নিয়ে আমার অনেক সমস্যা আছে। আমি দুই সপ্তাহ ধরে ঘুমাতে পারছি না। আমাকে একটা সুযোগ দিন। কমিশনের সব অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে পারব। আমার কাছে সব কাগজপত্র আছে। আমাকে সরাসরি সরিয়ে দুদকের ( ACC ) পথ রুদ্ধ করা হয়েছে। আমি আসলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আসতে পারবো।

আমাকে অপসারণের পরও বিভাগীয় মামলায় হাজিরা দেওয়া দুঃখজনক হলেও তিনি বলেন, আমি খুবই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে আছি, দুদকের ( ACC ) অভিযোগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি হিসেবে হাজিরা দিতে এসেছি। আপনি জানেন, ১৬ ফেব্রুয়ারি ( February ) আমাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। দুঃখজনক হলেও সত্য আমি অপসারণের পরও বিভাগীয় মামলায় হাজিরা দিচ্ছি। এটা আইনের চোখে কতটা সমতা তা বলতে পারব না। কিন্তু আমি এটা নিয়ে বিব্রত। আমার বিরুদ্ধে তিনটি ডিপি চলছে। প্রথমটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নো-ডেবিট সম্পর্কে, দ্বিতীয়টি কেন নথি হস্তান্তর করতে দেরি হচ্ছে এবং তৃতীয়টি কেন কাজে যোগদান করতে দেরি হচ্ছে?

আজকের বিভাগীয় মামলার বিষয় হলো, নথিপত্র হস্তান্তর করতে দেরি করলাম কেন? তদন্তের দায়িত্বে থাকা উপ-পরিচালক মো. মশিউর রহমান। আমি ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে তাকে সব প্রমাণ দিয়েছি। আমার ১৩০টি নথি ছিল। মামলাগুলো ছিল অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর এবং অত্যন্ত সংবেদনশীল। তারা ছয়টি আলমারিতে ছিল। এটা আরেকজনকে বোঝানো সময়ের ব্যাপার। ফাইল বুঝিয়ে পটুয়াখালী থেকে আমাকে আসতে দেওয়া হয়নি। ২২শে আগস্ট নির্দেশ পাওয়ার পর, আমি পাঁচ দিনের জন্য নথি বিষয়ে ব্যাখ্যা করেছি। যারা ফাইল বুঝেছেন তাদের জিজ্ঞেস করলেই মূল ঘটনা জানতে পারবেন।

“আমার উর্ধ্বতনরা বিপথগামী হয়েছে,” তিনি বলেন। আমি ২৭ ফেব্রুয়ারি চাকরির নিয়ম অনুযায়ী কমিশন বরাবর আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেছি। আশা করি, কমিশন আমার আবেদন গ্রহণ করে ন্যায়বিচার পাওয়ার বন্দোবস্ত করবে।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ওই কর্মকর্তাকে অপসারণ করে দুদক। এর আগে তাকে চট্টগ্রাম থেকে পটুয়াখালীতে বদলি করা হয়।

তিনি আরো বলেন, দুনীতির বিরুদ্ধে গিয়ে আমি যখন জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরনের জন্য মিশন-ভিশন বাস্তবায়ন করতে গিয়েছি সেই সময় প্রভাবশালীদের রোষানলে পড়ি। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ ও সদয় নজরদারির জন্য, দুদকের সহকর্মীদের সহযোগিতায়, মিডিয়া ও মানুষের দোয়ায় আমি গুম হতে রেহাই পেয়েছি। আমি বেশিরভাগ সময় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ছি কারন আমি একজন দুদক কর্মকর্তা ছিলাম, এখন আমি একজন অভিযুক্ত। দুদক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি হিসেবে নিজেকে হাজিরা দিতে গিয়ে বিব্রত বোধ করছি।

 

 

About bisso Jit

Check Also

সংস্কারের নামে ভয়াবহ দুর্নীতি-লুটপাট

সংস্কার ও উন্নয়নের নামে কয়েকগুণ বেশি ব্যয় দেখিয়ে হরিলুটের ব্যবস্থা করা হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *