পরিবারের সাথে মাকে সাথে করে নিয়ে দেশে ফিরলেন এক যুবক। তবে দেশে ফেরার পরই তার সাথে ঘটে যায় অনাকাঙ্ক্ষিত এক ঘটনা। মায়ের কোল খালি করে করেন অল্প বয়সী এই যুবক। পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। তার তাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিবরণ সংবাদ মাধ্যমে তুলে ধরেন তার ভাই।
এই ঘটনা সম্পর্কে এক সংবাদ মাধ্যম জানায়, রাউজানের রেমিট্যান্স যোদ্ধা মাসুদুল ইসলাম (২৮) কিডনি অপারেশনের জন্য দেশে গিয়ে আমিরাতে ফেরেননি।
৫ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।তিনি রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব কচুখাইন খায়রাতুল মিয়া সওদাগরের বাড়ির নুরুল।
জানা গেছে, ২ বছর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে বাবার গ্যারেজে কাজ করতেন। মাসখানেক আগে তার কিডনিতে সমস্যা ধরা পড়ে।
কিডনিতে পাথর ধরা পড়ে। শারজাহতে প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার পর অস্ত্রোপচারের জন্য মায়ের সঙ্গে দেশে ফেরার কথা ছিল এবং তারপর আবার বিদেশে যাওয়ার কথা ছিল।
মাসুদুল ইসলামের ছোট ভাই আরিফুল ইসলাম জানান, আমার ভাই গত ১৯ জুলাই মায়ের সঙ্গে বাড়ি ফেরেন। চট্টগ্রাম শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কিডনিতে পাথরের অপারেশনের পর ২ দিন ভালো থাকলেও পরে ব্যথা শুরু হয়। আবারও একই হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। অবস্থার উন্নতি না হলে সেখান থেকে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়। সেখানে ১৩ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি মারা যান।
দেশে ভুল চিকিৎসার কারণে তার ভাই মারা গেছে বলেও দাবি করেন তিনি। গতকাল বাদ আসর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
নিজের ভাইয়ের প্রয়নের জন্য ডাক্তারকে দায়ী করেন ছোট ভাই। তবে ডাক্তারের বিরুদ্ধে সে এখনো পর্যন্ত আইনানুক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। অন্যদিকে মাসুদুল ইসলামের অপম /ত্যুর জন্য পরিবারের সবাই ভেঙে পড়েছেন। সান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করছে প্রতিবেশীরা।