প্রথম স্ত্রী মাহমুদা বেগম মমতাজের মৃত্যুতে রীতিমতো মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন মোহাম্মদ ইসমাইল। তিনি কুমিল্লার আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি। দীর্ঘদিনের দাম্পত্য জীবনে বেশ সুখেই ছিলেন তারা। তবে কখনও ভাবতেও পারেননি, জীবনের শেষ প্রান্তে এসে সব থেকে কাছের মানুষটিই তাকে ফাকি দিয়ে চলে যাবেন অনেক দূরে। আর সেই কারনে দীর্ঘ ৭টি বছর একা একা কাটিয়ে দেয়ার অবশেষে নতুন করে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন তিনি। তার বয়স ৯৩ বছর। আর এই বিয়েকে কেন্দ্র করে কুমিল্লার আদালতপাড়ায় বইছে উৎসবের আমেজ।
সোমবার রাতে বিয়ের বিষয়টি আলোচনায় আসে। পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরের আড়াই লাখ টাকা নগদ প্রদান করা হয়।
বরের উকিলের বয়স ৯৩ বছর কিন্তু কনের বয়স ৩৯ বছর। বর কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির পাঁচবারের সাবেক সভাপতি আইনজীবী ইসমাইল হোসেন।
আজ সকাল থেকেই অলিতে-গলিতে চায়ের দোকানে মুখরোচক আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় বিষয়টি।
বিষয়টি ইতিবাচক বলে মনে করেন ইসমাইল হোসেন। প্রথম স্ত্রী মাহমুদা বেগম মমতাজের মৃত্যুর পর সাত বছর তিনি একাকী জীবনযাপন করেন। পরিবারের সদস্যদের সাথে নির্জনতা নিয়ে কীভাবে জীবনযাপন করা যায় তা নিয়ে সবার মতানুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মেয়ে মিনারা বেগমকে বিয়ে করেন তিনি।
বর অ্যাডভোকেট ইসমাইল হোসেনের আগের সংসারের চার ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তারা সবাই প্রতিষ্ঠিত। তার নাতি-নাতনিরাও অনেকে বিয়ে করে সংসার করছেন। বড় ছেলে ইছহাক হোসেন কুমিল্লার আদালতের আইনজীবী। তিনি জানান, তার মায়ের মৃত্যুর পর তার বাবা দীর্ঘদিন ধরে নিঃসঙ্গতায় ভোগছিলেন। পারিবারিকভাবে তার বাবাকে বিয়ে করাতে পেরে পরিবারের সবাই খুশি।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এই দম্পতি কয়েকটি ছবিও ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। আর সেই ছবিকে কেন্দ্র করে নেটিজেনদের অনেকেই তাদের সুন্দর জীবন কামনা করেছেন। তবে অনেকেই আবার বাজে মন্তব্য করতে দেখা গেছে। তবে যাই হোক, সমালোচনা গায়ে না লাগিয়ে নিজের মতো করে সংসার সাজানোর চেষ্টা ইসমাইলের।