বর্তমানে মায়নমার ও বাংলাদেশকে নিয়ে শুরু হয়েছে নানা ধরনের সমালোচানা। মায়নমারের ছোড়া পরপর দুইটি গোলা বাংলাদেশে সিমান্তে এসে পড়ার পর থেকে এই সমালোচানা সৃষ্টি হয়। তবে ওই সময় ঘটনাটি অনিচ্ছাকৃত মনে হলে বর্তমানে সেটা সিরিয়াস ইস্যু হয়ে দাড়িয়েছে। করন এমন ঘটনা মায়নমার ও বাংলাদেশে একাধিকবার ঘটছে। এর মধ্যে বংলাদেশের দুই যুবক প্রয়াতও হয়েছেন। এ বিষয় নিয়ে এবার সংবাদ মাধ্যমে মির্জ ফখরুল হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সরকারের নতজানু ও দুর্বল কূটনীতির কারণে মিয়ানমার সশস্ত্র বাহিনীর সামরিক ঔদ্ধত্য বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ফখরুল বলেন, “সরকারের নতজানু ও দুর্বল কূটনীতির কারণে গত ২৮ আগস্ট থেকে মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর সামরিক ঔদ্ধত্য বেড়েই চলেছে। এর সর্বশেষ উদাহরণ জিরো লাইন পার হয়ে এক কিশোরের মৃ/ ত্যু। শুক্রবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার বাহিনীর ছোড়া মর্টার শেল বিধ্বস্ত হয়ে শ ‘শুটি আহত হয়েছে।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
সীমান্তে মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনীর বেপরোয়া তৎপরতা এবং সর্বশেষ মর্টার গোলাবর্ষণের কারণে বাংলাদেশ সীমান্তের জিরো লাইনের কাছে হ/ ত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও হস্তক্ষেপ কামনা করেছে বিএনপি।
ফখরুল বলেন, সম্প্রতি মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গোলাবর্ষণ করে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় গভীর উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশ সীমান্তে মর্টার শেল নিক্ষেপের এক সপ্তাহ পর ৩ সেপ্টেম্বর মিয়ানমার বাহিনী বারবার আকাশসীমা লঙ্ঘন করে এবং যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালায়। আন্তর্জাতিক আইনের সরাসরি লঙ্ঘন করে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে জিরো লাইনের কাছে বাংলাদেশ ভূখণ্ডের ১২০ মিটারের মধ্যে শেলটি বিস্ফোরিত হয়। মিয়ানমারের বাহিনী প্রায়ই বাংলাদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালাচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও পুলিশের গণহত্যার মুখে জীবন বাঁচাতে ২০১৭ সালের ২৫ ও ২৬ আগস্ট সীমান্ত পেরিয়ে আট লাখ রো/ হিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ১.২ মিলিয়ন রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই ভয়াবহ সংকটে রয়েছে। এর উপরে মিয়ানমারের বাহিনী নতুন করে সীমান্ত সমস্যা তৈরি করছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশের বর্তমান ফ্যাসিবাদী শাসক শেখ হাসিনার নতজানু পররাষ্ট্রনীতির ফলে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এদিকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে হ/ ত্যাকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরেও সীমান্ত হ/ ত্যার ঘটনা ঘটেছে। মির্জা ফখরুল স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষায় সরকারের মেরুদণ্ড সোজা করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, আমান উল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মায়ানমারের এই ঘটনা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংগে আলোচনা করার সিন্ধান্ত নিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মন্ত্রী জানিয়েছে আমরা যুদ্ধ চাই না আমরা সমাধান চাই। তবে অনেকেই তার এমন বক্তব্যের বিরোধীতা করেছে। তারা জানিয়েছে আমাদের ইট মারলে আমাদের পাটকেল দিয়ে তার প্রতিবাদ করা উচিৎ। আমার ১৯৭১-এ পিছুপা হইনি এবারো পিচুহটে মায়নমারের কাছে নতজানু হতে চাই না।