একটানা ৪ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করার পর র্যাবের প্রধান কার্যালয় হতে বেরিয়ে আসেন অভিনেতা ইমন। গতকাল (মঙ্গলবার) অর্থাৎ ৭ ডিসেম্বর রাত সোয়া ১১টার দিকে কুর্মিটোলার র্যাবের সদর দফতর হতে বেরিয়ে আসেন তিনি। দেশের একটি জনপ্রিয় গনমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন চিত্রনায়ক ইমন নিজেই।
কেন তাকে র্যাব অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে অভিনেতা ইমন মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, “ফোন কলটি কীভাবে বা কোন সময় ছড়িয়ে পড়েছে সে বিষয়েই আমাকে বিভিন্নভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। এটি আমার ফোন থেকে ছড়িয়েছে, নাকি আমার মাধ্যমে ফোনালাপ ফাঁ’স হয়েছে, এই ধরনের প্রশ্ন করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জানতে চান।
ইমন বলেন, আমার কথা যাচাইয়ের জন্য তাঁরা আমার মোবাইল ফোনটি নিয়ে পরীক্ষা নীরিক্ষা করেন দীর্ঘ সময়। এরপর তারা আমার সহযোগিতার কারণে ধন্যবাদ জানান। পরবর্তীতে সযোগিতা প্রয়োজন হলে করবো কি না জানতে চান। আমি বলেছি যে কোনো সময় প্রয়োজন হলেই আমি হেল্প করবো।
লালটিপ খ্যাত এই অভিনেতা বলেন, ‘আমি র্যাব ইন্টিলিজেন্সের ব্যাবহারে মুগ্ধ হয়েছি। তারা আমার সঙ্গে বেশ ভালো ব্যবহার করেছেন।’
র্যাব সদর দফতরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, সাম্প্রতিক ভাইরাল অডিও ক্লিপ ফাঁসের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব সদর দফতরে চিত্রনায়ক ইমনকে ডেকে নিয়ে আসা হয়। বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাত ১১ টা ১৫ মিনিটে তিনি র্যাব সদরদফতর থেকে চলে যান।
তাকে কি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভাইরাল হওয়া অডিওটি কিভাবে ফাঁস হলো মুলত সেই বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়৷ এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইমন র্যাব সদর দফতরে গিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের সাথে ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়, যেখানে মাঝে মাঝে অভিনেতা ইমনকেও কথা বলতেও শোনা যায়। তাছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারিক রহমান, বেগম জিয়ার নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে অত্যন্ত অশালীন ও অশ্রাব্য ভাষায় মন্তব্য করেছেন যেটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সারাদেশে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী। এ কারণে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন ড. মো. মুরাদ হাসান।