সম্প্রতি দ্বাদশ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলের আওয়ামীলীগের মনোনয়ন ফরম তুলেছেন অভিনেত্রী মাহিয়া মাহিসহ অনেক তারকারা।কিন্তু বিভিন্ন মহলে প্রশ্নে উঠেছে যারা সংসদ সদস্য হতে চায়ছেন তারা কখনো রাজনীতি বা জনগণের জন্য কোনো কাজ করছেন।শুধুু তাই নয় তাদের ব্যক্তিত্ব নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন।কারণ যারা দীর্ঘ ধরে দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করে কাজ করছেন তাদের বাদ দিয়ে হঠাৎ জেগে ওঠা তারকাদের কিভাবে মনোনয়ন দিবে দল। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন লেখিকা মিলি সুলতানা হুবহু পাঠকদের জন্য নিচে দেওয়া হলো।
অভিনেতা/অভিনেত্রীদের একটা ইথিক্স আছে, যতদিন এরা অভিনয়ে উজ্জ্বল ততদিন অভিনেতা/অভিনেত্রী। যখন অভিনয়ে এরা ঠনঠনে হয়ে যায় তখন নেতা/নেত্রী হতে চায়। মাহিয়া মাহী একজন চিত্রনায়িকা মাত্র। সমাজে তিনি রূপের চমক ঠমক নিয়েই মহীয়ান হয়ে আছেন। রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় মাহী একেবারে অজ্ঞ। যদিও পেছন থেকে তার স্বামী রাকিব সরকার স্ত্রীর পশ্চাতে ইঞ্জিন লাগিয়ে ঠেলছেন। মাহী যেভাবে মিটিং সিটিং করছেন তাতে প্রশ্ন উঠেছে, আসলেই কি মাহী চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের জন্য মনোনয়ন পাবেন? জানা গেছে মাহীকে সংসদ সদস্য বানানোর জন্য রাকিব সরকার বিশাল পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। মাহীর জন্য উচ্চপর্যায়ে লবিং করেছেন তার স্বামী। আমাদের সমাজে কিছু অপদার্থ পুরুষ আছে। যারা স্ত্রীকে ব্যবহার করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চায়। রাকিব সরকার তাদেরই প্রতিনিধি। আর দুইদিন পর চুড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা ঘোষণা করা হবে। এবার নেত্রীর সিদ্ধান্তের উপর আমাদের আস্থা আছে। তিনি যথেষ্ট বিচার বিশ্লেষণ করেই সিদ্ধান্ত নেবেন। যাদের ব্যক্তিজীবন বিতর্কিত, কলঙ্কিত তাদেরকে সংসদে ঢোকার রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়া হোক। সুন্দর একখান মুখ আর পলিটিক্যাল বেশভূষা নিলেই তাকে সংসদ সদস্যের জন্য যোগ্য ভাবা যায়না। বহু ত্যাগী নেতাকর্মী বছরের পর বছর ধরে উপেক্ষিত হয়ে আছেন। তারা মুখ বুঁজে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তাদেরকে রিকগনাইজ করার সময় এসেছে এখন। আওয়ামী লীগের নিবেদিত সমর্থক হিসেবে চাই যোগ্য ব্যক্তিকে মনোনীত করা হোক। অযোগ্যদের এড়িয়ে যাওয়া হোক।
আওয়ামী লীগের মত ঐতিহ্যবাহী দলের জন্য মাহিয়া মাহীর মত বিনোদন রঞ্জিনীদের রাস্তাঘাট থেকে ধরে এনে সংসদ সদস্য বানানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই। তার কুৎসিত কলঙ্কিত চেহারা রাজনীতি দিয়ে মেরামত করা সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগের মত ঐতিহ্যবাহী দলের জন্য এরা ডিসকোয়ালিফাইড।