মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে নির্মাণাধীন ভবন ধসে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত তিনজনই শ্রমিক। এছাড়া দুর্ঘটনার পর বেশ কয়েকজনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং চার শ্রমিক এখনও নিখোঁজ রয়েছে।
ধসে পড়া ভবনের শ্রমিকরা সবাই বাংলাদেশি বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাতে এ ভবন ধসের ঘটনা ঘটে।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) দ্য স্ট্রেইটস টাইমস ও ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে পৃথক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৯.৪৫ মিনিটে মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে একটি নির্মাণাধীন ভবন ধসে পড়ে। ওই ঘটনার পর উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও নিখোঁজ চার শ্রমিককে খুঁজছেন।
পেনাংয়ের ডেপুটি পুলিশ প্রধান মোহাম্মদ ইউসুফ জান মোহদ বলেছেন, উদ্ধারকারীরা এখনও পর্যন্ত আটকে পড়া নয়জন শ্রমিকের মধ্যে পাঁচজনকে খুঁজে পেয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, “ঘটনার সময় প্রায় 12 মিটার লম্বা এবং প্রায় 14 টন ওজনের একটি বিম ধসে পড়ে এবং এই ঘটনায় আরও 14টি বিম ধসে পড়ে। নির্মাণাধীন জায়গায় কাজ করার জন্য 18 জন শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছিল। তারা নামাজের জন্য বেরিয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা তিনজনকে শনাক্ত করেছি- দুজন ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন এবং একজন হাসপাতালে মারা গেছেন। গুরুতর আহত অপর দুইজনকে চিকিৎসার জন্য পেনাং হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এখানে কর্মরত সব শ্রমিকই বাংলাদেশি নাগরিক। আমাদের ধারণা, ধসে পড়া কাঠামোর নিচে আরো চারজন আটকা পড়েছেন।
তবে, ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে জানিয়েছে যে দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি বলে জানিয়েছেন মোহাম্মাদ ইউসুফ।
এদিকে, পেনাং ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের উপ-পরিচালক জুলফাহমি সুতাজি বলেছেন, ধসে পড়া কাঠামোর ভারী ওজনের কারণে উদ্ধার প্রচেষ্টা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। “ভারী কাঠামো অপসারণ করতে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে পৌঁছানোর জন্য আমাদের বড় সরঞ্জামের প্রয়োজন,” তিনি বলেছিলেন।
এর আগে ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্টের প্রাথমিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ধ্বংসস্তূপের নিচে অন্তত নয়জন শ্রমিক আটকা পড়েছেন। দুর্ঘটনার পরও তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চলছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের শেখ ইসমাইল আলাউদ্দিন জানান, দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য তারা এখনও অপেক্ষা করছেন।
তিনি বলেন, ‘অফিশিয়ালি কোনো তথ্য জানার আগে আমরা কোনো ধরনের বক্তব্য দিতে পারি না। আমি ঠিকাদারকে ক্ষতিগ্রস্তদের বিস্তারিত জানাতে বলেছি। যদিও আমরা জানি তারা বাংলাদেশের, তবে কোনো বিবৃতি দেওয়ার আগে তাদের শনাক্ত করার জন্য আমাদের কাগজপত্র দরকার।”