ফেডারেশন অফ মালয়েশিয়ান ম্যানুফ্যাকচারস (এফএমএম) মালয়েশিয়া সরকারের বিদেশী কর্মী নিয়োগ নীতিতে আকস্মিক পরিবর্তন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ফেডারেশন আশঙ্কা করছে যে এই পরিবর্তন শিল্প খাতের ইতিবাচক গতিপথকে ব্যাহত করতে পারে।
ফেডারেশনের সভাপতি, তান শ্রী সোহ থিয়ান লাই, একটি বিবৃতিতে বলেছেন যে মালয়েশিয়ার শিল্প কারখানার ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা স্থানীয় অনলাইন মালয় মেইল সহ বেশ কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রচার করা হয়েছে। চলমান কোটা বাতিলের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব এবং বিদেশী কর্মী নিয়োগের নতুন নীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন ফেডারেশন।
তিনি উল্লেখ করেছেন যে সিদ্ধান্তটি শিল্প খাতের মালিকদের জন্য অপ্রত্যাশিত ছিল, বিশেষ করে যখন এই খাতটি বিক্রয়, উৎপাদন, মূলধন বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধির প্রত্যাশা করছে।
তান শ্রী সোহ আরও বলেন, কোটা বৈধতার মেয়াদ কমানো এবং মাত্র এক মাসের নোটিশ দেয়ার পাশাপাশি নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য নির্ধারিত কঠোর সময়সীমা উদ্বেগজনক। তিনি আশঙ্কা করেন যে, এটি শ্রমিকদের সময় মতো নিয়োগে বাধা সৃষ্টি করবে এবং ফলে উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থাকে বিঘ্নিত করবে।
নীতি পরিবর্তনের অধীনে ঘোষিত ১ মাসের সময়সীমার অধীনে, নিয়োগকর্তাদের কলিং ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে (৩১শে মার্চ, ২০২৪) এবং ৩১শে মে, ২০২৪ এর মধ্যে ভিসা, ভিডিআর, চিকিৎসা সম্পন্ন করে সমস্ত কর্মীদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশ নিশ্চিত করতে হবে, যা প্রায় অসম্ভব।
শিল্প খাত যাতে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারে এবং স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে পারে সে জন্য ফেডারেশন দেশের সরকারের কাছে বিশেষ বিবেচনার জন্য কমপক্ষে ৬ মাস মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছিল। এ বিষয়ে তারা নীতি বাস্তবায়নের মেয়াদ বাড়ানো এবং খাতের সঙ্গে আরও সংলাপের পরামর্শ দেন।
দেশের ম্যানুফ্যাকচারিং ফেডারেশন বিশ্বাস করে যে সরকারের সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে আরও কার্যকর এবং টেকসই সমাধানে পৌঁছানো যেতে পারে, যা উভয় পক্ষের স্বার্থ রক্ষা করবে।
এদিকে, ৬ মার্চ, মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এনসিসিআইএম) অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়োগ সীমিত করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছিল।