পরিবারের সাথে কোরবানির ঈদ উদযাপন করতে প্রবাসী ব্যবসায়ী সুমন বেপারী দীর্ঘদিন পর তার মালয়েশিয়ান সহধর্মিনীকে নিয়ে দেশে ফিরেছেন। তবে শুধু তারা দুজন আসেননি এই দম্পতির সাথে রয়েছে তাদের তিন তিনটি সন্তান। ঢাকায় বিমানে অবতরনের পর তিনি সেখান থেকে হেলিকপ্টার ভাড়া নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরেছেন। হেলিকপ্টারে বিদেশী স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফেরায় তাদের দেখতে উৎসুক মানুষের ভিড় জমে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় পরিবারকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরস্থ এ আর মডেল পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অবতরণ করে।
এর আগে সকাল ৮টায় মালয়েশিয়া থেকে আসা একটি ফ্লাইটে তারা ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। সুমন বেপারির বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের চির্কা গ্রামে।
জানা গেছে, চির্কা গ্রামের মজিবুল হক বেপারীর ছেলে সুমন ২০০৬ সালে মালয়েশিয়ায় যায়। ৯ বছর আগে ওই দেশের মেয়ে নুর ইনা লিজার সঙ্গে তার পরিচয় হয় এবং প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। লিজাকে বিয়ে করেন সুমন। এই দম্পতির এখন তিনটি সন্তান রয়েছে, সুফিয়া সাফরিনা (৮), আরাফাত (৪) এবং আড়াই বছরের আরমান।
পবিত্র ঈদুল আজহায় মা, বোন ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে এবং ঈদ উপভোগ করতে বাংলাদেশে এসেছেন তার স্ত্রী। শুক্রবার সকালে হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। পরে তিনি একটি প্রাইভেট হেলিকপ্টারে করে ফরিদগঞ্জ আসেন।
সুমন বেপারী বলেন, ঈদে মহাসড়কে যানজট থাকে। তাই ঝামেলা এড়াতে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে হেলিকপ্টারে করে বাড়িতে আসেন তিনি।
এদিকে ছেলে, জামাই ও নাতি-নাতনি পেয়ে তার ঈদের আনন্দ বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন সুমনের মা। নাতি-নাতনির কাছ থেকে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন সুমনের মা ফাতেমা বেগম। এ সময় তিনি বলেন, আমার ছেলে সুমন একসময় কষ্ট করেছে সেই দেশে। বর্তমানে তারা সুখে রয়েছে।
সালমা বেগম যিনি ব্যবসায়ী সুমনের বোন তিনি তাদের দেশে ফেরা নিয়ে বলেন, আজ আমাদের পরিবারের সবচেয়ে বড় আনন্দের দিন। আমার ভাই ও তার স্ত্রী তাদের সন্তানদের নিয়ে দীর্ঘদিন পর বাড়ি ফিরেছেন কোরবানির ঈদ উদযাপন করতে, সেটা আমাদের সবচেয়ে একটি বড় আনন্দঘন মুহূর্ত। বাবা-মা সবাই খুশি হয়েছেন। পাড়া-প্রতিবেশীরা তাদেরকে অভিনন্দন জানাতে আসছেন, আমরা সবাই খুব খুশি।