বাংলাদেশের অর্থনিতীর সব থেকে বড় চালিকা শক্তি হলো বিভিন্ন দেশে বসবাস করা প্রবাসীরা। তাদের পাঠানো রেমিটেন্সের কারনেই দেশের অর্থনীতির হাল সব সময়ই থাকে ঠিক। প্রবাসীদের গন্তব্যের তালিকায় রয়েছে মালদ্বীপও। আর এই কারনে মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার, রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদ, মাননীয় স্পিকার এবং দ্বীপরাষ্ট্রের পিপলস মজলিসের সাবেক সভাপতি জনাব মোহাম্মদ নাশিদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মজলিস ভবনে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মালদ্বীপ পিপলস মজলিসের সাধারণ সম্পাদক ফাতিমাথ নুশা এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব ও প্রধান জনাব সোহেল পারভেজ।
ওই সাক্ষাৎকারে তিনি দুই দেশ ও ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের মধ্যে চমৎকার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন। মাননীয় স্পিকার বাংলাদেশের কৃষি খাতের ব্যাপক উন্নয়নের প্রশংসা করেন এবং মালদ্বীপে কৃষির উন্নয়নে যৌথ উদ্যোগের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।
তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অগ্রগতির কথা উল্লেখ করেন এবং বাংলাদেশকে বিশ্বে অর্থনৈতিক উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করার জন্য শেখ হাসিনা সরকারের প্রশংসা করেন।
আলোচনার এক পর্যায়ে মাননীয় স্পিকার বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সার্বিক অবস্থা দেখতে বাংলাদেশ সফরে আসার আগ্রহ ও সম্মতি ব্যক্ত করেন।
এছাড়াও, উল্লিখিত আলোচনায়, বাংলাদেশ হাইকমিশনার মাননীয় স্পিকার এবং দ্বীপ রাজ্যের পিপলস মজলিসের সাবেক সভাপতি জনাব মোঃ নাশিদকে বাংলাদেশ থেকে নতুন কর্মী আনা বা নিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন, যার মধ্যে সুযোগ-সুবিধা বজায় রাখা হয়। এবং মালদ্বীপে কর্মরত প্রবাসী শ্রমিকদের সুবিধা।
পরিশেষে, দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই দেশের মধ্যে সব ধরনের সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য সর্বদাই সচেষ্ট দুই দেশ। আর এই সম্পর্কে ধরে রাখার প্রত্যয়ও জানায় তারা।