বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের বিরুদ্ধে আটজন কংগ্রেসম্যানের চিঠি প্রসঙ্গে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, তারা বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ নিয়ে কথা বলেছেন। আমরা শ্রমিকদের কাজের পরিবেশকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) বিসিআইএস মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ আয়োজিত এক সেমিনারে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি এ কথা বলেন।
এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, বিজিএমইএর পক্ষ থেকে ব্র্যান্ড, খুচরা বিক্রেতা এবং তাদের প্রতিনিধিদের কাছে বেশ কয়েকটি চিঠি পাঠানো হয়েছে, যাতে বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্যের মূল্য পুনর্নির্ধারণের জন্য তাদের নতুন মজুরি সমস্যা আর্থিকভাবে পরিচালনা করার জন্য অনুরোধ করা হয়। তিনি বলেন, এটা ভালো যে বেশ কয়েকটি ব্র্যান্ড দাম সংশোধনের বিষয়ে ইতিবাচক।
ফারুক হাসান ২০৩০ সালের মধ্যে তৈরি পোশাক থেকে রপ্তানি আয় ১০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যমাত্রার কথা বলেন। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে আমরা পণ্য, ফাইবার ও বাজার বৈচিত্র্যকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় আমরা একটিভ ওয়্যার, আউটওয়্যার, ডেনিম, অন্তর্বাস, স্যুট, ফ্যান্সি ড্রেসেস এবং ফরমাল ওয়্যারের মতো পোশাকে বিনিয়োগ করছি। বিজিএমইএ আমাদের শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী জামদানি ও মসলিন কাপড় ব্যবহার করে নারীদের জন্য বিলাসবহুল পোশাক তৈরিতেও কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা যদি বিশ্ববাজারে টিকে থাকতে চাই তাহলে আমাদের অবশ্যই উদ্ভাবন, প্রযুক্তিগত মানোন্নয়ন, নকশা ও দক্ষতা উন্নয়ন এবং সামগ্রিক ব্যবসায়িক সক্ষমতার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।