প্রত্যেক দেশের কিছু না কিছু সমস্যা থাকে যে সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠে দেশ এগিয়ে যায় সামনের দিকে। তবে এই ক্ষেত্রে দরকার একজন বিচক্ষণ ও দক্ষ রাষ্ট্র নেতা। তবে এই দেশ সেই দিক থেকে অনেক ভাগ্যবান, কেননা বাংলাদেশ পেয়েছে শেখ হাসিনার মত একজন বিচক্ষণ ও দক্ষ প্রধানমন্ত্রী। সম্প্রতি জানা গেছে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেছেন যুক্তরাষ্ট্র বা বাংলাদেশ কোনো দেশই একেবারেই নিঁখুত না।
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হ্যাস বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বা বাংলাদেশ উভয়ই নিখুঁত নয়। যুক্তরাষ্ট্রের ২৪৬তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। বুধবার সন্ধ্যায় মার্কিন দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “যুক্তরাষ্ট্রে স্বাধীনতা দিবস লাল, সাদা এবং নীলের একটি দিন।” গৌরবের দিন, দেশপ্রেমের দিন। একদিন মনে পড়ে আমাদের দেশের জন্ম হয়েছিল এক রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে। একদিন, আমরা আমাদের গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত করার জন্য আমাদের পূর্বপুরুষদের ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। ”
“এই বছর, যখন আমরা বাংলাদেশের সাথে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ তম বার্ষিকী উদযাপন করছি, আমরা স্বাধীনতার রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ থেকে জন্ম নেওয়া অন্য একটি দেশের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই,” তিনি বলেছিলেন। আমরা এমন একটি দেশের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা জানাই যেটি অনেক প্রতিকূলতা অতিক্রম করেছে এবং আমরা বাংলাদেশের জন্য ভবিষ্যত কী রাখবে এবং বাংলাদেশ ভবিষ্যতের জন্য কী নিয়ে আসবে তা দেখার অপেক্ষায় আছি। ‘
তিনি বলেন, আমাদের দুই দেশের কোনোটিই নিখুঁত নয়। আমেরিকার প্রতিষ্ঠাতারা আরও নিখুঁত ঐক্য গড়ে তোলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। আমরা আমেরিকানরা আমাদের গণতন্ত্রের দুর্বলতাগুলোকে মোকাবেলা করার ক্ষেত্রে এই চ্যালেঞ্জটিকে গুরুত্ব সহকারে নিই না। ”
পিটার আরও বলেন, ‘আমেরিকাতে স্বাধীনতা দিবস একটি উৎসবের দিন। বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সাথে একসাথে সময় কাটানোর একটি দিন। বারবিকিউ, প্যারেড এবং আতশবাজির দিন। তাই এই বছর আমরা স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি যেভাবে আমরা আমাদের দেশে উদযাপন করতাম – জিন্স, স্লাইডার এবং হট ডগ, গভীর ভাজা ওরিওস, খেলাধুলা এবং সঙ্গীত এবং অবশ্যই আপনাদের সবার সাথে।
প্রসঙ্গত, সমস্যাতো থাকবেই আর এইটাই স্বাভাবিক। একটি দেশের বিভিন্ন সমস্যা থাকতে পারে যেমন অর্থনৈতিক, সমাজিক, মৌলিক এবং এছাড়াও আরো অনেক ধরণের সমস্যা থেকে থাকে। সেই সমস্যাগুলো চাতুরতার সহিত সমাধান করাই একজন সফল রাষ্ট্রপ্রধানের সাফল্য আর যেটা প্রধানমন্ত্রী করে দেখিয়েছেন।