সম্প্রতি দ্বাদশ নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নিয়ে দেশের মানুষ গণতন্ত্র ফিরে পাওয়া আভাস পায়।কিন্তু আওয়ামীলীগ সরকার যুক্তরাষ্ট্রকে পাত্তা না দিয়ে আবারও পাতানো নির্বাচন করে ক্ষমতা দখল করেছে।যদিও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার তা করার আশ্বাস দিলেও এখনো পর্যন্ত কোনো ধরনের ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি তাদের পক্ষ থেকে।বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ গোলাম মাওলা রনি হুবহু পাঠকদের জন্য নিচে দেওয়া হলো।
মান্যবর পিটার হাসের সাথে আমার কোনোকালে কথা হয়নি। এমনকি সামনাসামনি দেখাও হয়নি। অথচ তার বেশ কয়েকজন পূর্বসূরির সাথে আমার বেশ দহরম মহরম ছিল। আর আমিও একসময় ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের প্রিয়পাত্ররূপে দেশ-বিদেশে হেলেদুলে চলতাম। কিন্তু আমার সেই সুদিন আর নেই। টেলিভিশনের একটি টকশোতে তৎকালীন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনাকে নিয়ে নেহায়েত এক আনকোরা কৌতুকের অপরাধে আমার মার্কিন ভিসা বাতিল হয়। তারপর আর ভিসা দেয়নি। আমার স্ত্রী-ছেলেমেয়েদের ভিসা থাকার পরও ভয়ে তারা মার্কিনমুলুকে যায়নি এবং ভিসার মেয়াদ শেষে নবায়নও করেনি।
আমার মার্কিন ভিসা বাতিল অথবা পরপর দুইবার আবেদনের পরও ভিসা না দেয়ায় আমার মনের মধ্যে কোনো দুঃখ-কষ্ট বা ক্ষোভ তৈরি হয়নি। কারণ আমার মনে হয়েছে- মার্কিনিরা বড়ই ইজ্জতদার জাতি। তাদের আত্মমর্যাদাবোধ প্রখর এবং তারা বড়ই অভিমানী। সুতরাং একজন রাষ্ট্রদূতকে নিয়ে আমার হাস্যরস করা ঠিক হয়নি অথবা আওয়ামী লীগের দালালি কিংবা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোরঞ্জনের জন্য রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনাকে কটাক্ষ করা মানুষকে আমেরিকা ভিসা দেবে না- এটাকে স্বাভাবিক মনে করে আমি নিজেকে সান্ত্বনা দিচ্ছিলাম এবং মনের আনন্দে ২০১৮ সাল অবধি আওয়ামী লীগের মধ্যেই দুনিয়ার তাবৎ সফলতার রূপ-রস-গন্ধ অনুভবের চেষ্টা চালাচ্ছিলাম।
দ্বিতীয়ত, আমি আমার পিতার মতোই নিজেকে কৃতজ্ঞ মানুষরূপে গড়ে তোলার চেষ্টা করে চলেছি এবং সে কারণে আমেরিকার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। কারণ আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একবার মহা ধুমধাম করে আমাকে নিমন্ত্রণ করে তাদের দেশে নিয়েছিল। মার্কিন জাতির ইতিহাস, সরকারব্যবস্থা এবং মার্কিনিদের জীবনযাত্রা সম্পর্কে চমৎকার একটি কোর্সের মাধ্যমে আমাকে শিক্ষা দিয়েছিল। আমার বি-১/ বি-২ ভিসার সাথে জে-১ ভিসা দিয়েছিল। মার্কিন সরকার সারা দুনিয়ার মেধাবী বা জিনিয়াসদের জে-১ ভিসার অধীন তাদের দেশে নিয়ে যেভাবে সম্মান দেখায় তার চাক্ষুস সাক্ষী হওয়ার পর আমি সঙ্গত কারণে আমৃত্যু কৃতজ্ঞ থাকতে বাধ্য। কারণ যা দেখেছি যা পেয়েছি এবং যা জেনেছি তার সাথে নিজের ও পরিবারের ভিসা বাতিল নিতান্তই তুচ্ছ ঘটনা। আর সে জন্য সময় পেলেই আমার জবানে বা লিখনীতে মার্কিন প্রসঙ্গ ইতিবাচকভাবে চলে আসে।
মান্যবর রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সাথে আমার জানাশোনা না থাকলেও আমার বিশ্বাস, তিনি আমাদের দেশে দায়িত্ব পালনে মনোনীত হওয়ার জন্য যথেষ্ট পড়াশোনা করেছেন। অধিকন্তু তার বিগত দিনের বাস্তব অভিজ্ঞতার সাথে নিশ্চয়ই গাঙ্গেয় ব-দ্বীপের হাজার বছরের ইতিহাস তাকে দায়িত্ব পালনে যথেষ্ট সহায়তা করেছে। অতীতের রাষ্ট্রদূতদেরও হয়তো পিটার হাসের মতো প্রস্তুতি ছিল। কিন্তু পিটার হাস যে ঐতিহাসিক সময়ে বাংলাদেশে যেভাবে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন তা তাকে সমসাময়িক ইতিহাসের তর্ক-বিতর্ক, আলোচনা-সমালোচনা কিংবা সফলতা-ব্যর্থতা অথবা প্রশংসা-নিন্দার সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে দিয়েছে। তিনি যদি সেই শিখরে টিকে যান তবে মহাকালের ইতিহাসের মহান ত্রাতা হিসেবে গাঙ্গেয় ব-দ্বীপের হাজার বছরের আকাশের উজ্জ্বল জোতিষ্করূপে জ্বলজ্বল করবেন। আর যদি ব্যর্থ হন তবে বাঙালির নিন্দা- অভিশাপ ও কটূক্তিতে তিনি কিয়ামত পর্যন্ত বিদ্ধ হতে থাকবেন।
আমার এই নিবন্ধ যদি পিটার হাসের নজরে আসে তবে তার মনে সবার আগে যে প্রশ্নটি আসবে তা নিয়েই আলোচনা শুরু করা যাক! তিনি হয়তো ভাববেন, বাঙালি কেন তাকে নিয়ে এত হইচই করছে। এই প্রশ্নের সঠিক জবাব দেয়ার জন্য বাঙালির ইতিহাস এবং মানুষ হিসেবে বাঙালির অভ্যাস নিয়ে দু’-চারটি কথা বলা আবশ্যক। প্রথমত, বাঙালি শক্তের ভক্ত এবং নরমের যম। এ কারণে শক্তিশালী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতকে বাঙালি ভয় করে। কিন্তু এই বাঙালিই ফাঁদে আটকে পড়া হাতিকে খোঁচা দেয় অথবা বাঘের লেজ দিয়ে কান চুলকানোর পাশাপাশি ওগুলোর গুপ্ত অঙ্গে হাত দিয়ে সুড়সুড়ি দেয়। বাঙালি খুব অল্পতে খুশি হয়ে যায়, শূন্যের ওপর স্বপ্নের বাড়ি বানাতে পছন্দ করে এবং নিজেরা যুদ্ধ না করে যুদ্ধজয়ী নেপোলিয়ন হতে চায়। আবার একই বাঙালি সামান্য কারণে রেগে অগ্নিশর্মা হয়। অপছন্দের লোককে গালাগাল-অভিসম্পাত করতে থাকে এবং অল্পতেই অধৈর্য হয়ে নিজেদের মতিগতি ১৮০ ডিগ্রি উল্টে দেয়। বাঙালির প্রশংসা যেমন সহজপ্রাপ্য তেমনি নিন্দালাভ আরো সহজ।
দ্বিতীয়ত, বাঙালি ঐতিহাসিকভাবে আবেগপ্রবণ ও আত্মভোলা জাতি। তারা সামনে বসে তেল মারে আর পেছনে গিয়ে বান মারে। সাদা চামড়ার মানুষ দেখলে তাদের চিত্তচাঞ্চল্য হয় এবং বিদেশীদের দেখলে নিদারুণ কৌতূহলী হয়ে কাজকর্ম ফেলে তাদের দেখার জন্য ভিড় করে। তারা বিদেশীদেরকে বন্ধু মনে করে এবং শর্তহীনভাবে তাদের বিশ্বাস করে। বাঙালি ঐতিহাসিকভাবে অতিথিপরায়ণ এবং অকারণে মিষ্ট ভাষা অথবা কটুবাক্য প্রয়োগে অপ্রতিদ্বন্দ্বী। কাজের চেয়ে গালগল্প, পরিশ্রমের তুলনায় আলস্য, চিন্তাভাবনা না করে উদাস নয়নে তাকিয়ে থাকা এবং দুর্বল ও অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে সর্বস্ব লুণ্ঠনে তারা সিদ্ধহস্ত। ফুটানি দেখানো, মিথ্যা বলা, ফোঁসফাঁস করে ভয় প্রদর্শন এবং অপচয়ের স্বভাব বাঙালি জাতীয় নেতাদের মজ্জাগত অভ্যাস। ফলে গত দুই-তিন হাজার বছরের বেশির ভাগ গৌরবময় রাজনৈতিক ইতিহাসের নেতৃত্ব ভূমিপুত্রদের পরিবর্তে বিদেশী রাষ্ট্রনায়ক বা সমরনায়কদের দ্বারা পরিচালিত হওয়ার কারণে ২০২৩-২৪ সালের পিটার হাস অতীতের বখতিয়ার খলজি, ঈসা খান, শায়েস্তা খান, গোপাল, শশাঙ্ক, হর্ষবর্ধন কিংবা আলাউদ্দিন হুসেন শাহের মতো বাঙালির মনে আবেগ তৈরি করে ফেলেছে।
পিটার হাস যদি ঐতিহাসিক দলিলপত্র দেখেন তবে বুঝবেন যে, বাঙালির রয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার বছরের রাজনৈতিক ইতিহাস। যদিও বাংলা ভাষার ইতিহাস এক হাজার বছরেরও কম। ইতিহাসের বেশির ভাগ সময় বর্তমান বাংলাদেশ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা, বিহার, উড়িষ্যা একক রাষ্ট্র ছিল এবং জ্ঞান-বিজ্ঞান সামরিক শক্তি ও ধন-সম্পদে বহু শতাব্দী ধরে এই অঞ্চলটি পৃথিবীর একনম্বর জাতিগোষ্ঠী ছিল। এই অঞ্চলের শাসকরা প্রায়ই দিল্লি, মধ্য প্রদেশসহ উত্তর ভারতের বিরাট অংশের ওপর রাজত্ব করেছে। অন্য দিকে, দক্ষিণ ভারত অথবা দিল্লিকেন্দ্রিক শাসনব্যবস্থার কোনো রাজা-মহারাজাকে এই অঞ্চলের মানুষ মেনে নেয়নি। ফলে বাংলাদেশসহ ভারতের সাতটি প্রদেশ যারা হাজার বছর ধরে বাঙালি শাসনে অভ্যস্ত তাদের রক্ত-মাংসে দিল্লির বিরুদ্ধে এক ধরনের ঘৃণাবোধ তৈরি হয়ে গেছে। দিল্লির নাম শুনলে এই অঞ্চলের মানুষের জৈবিক রসায়ন উল্টাপাল্টা হয়ে যায়, মনের মধ্যে গোস্বা চলে আসে এবং মস্তিষ্কে বিষ পয়দা হয়ে যায়।
আপনি যদি বাঙালির বন্ধু হতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে যে, বাঙালির মধ্যে পরস্পরবিরোধী অনেক দোষ গুণ রয়েছে। হাজার হাজার বছর ধরে পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী জাতিগোষ্ঠী হওয়ার দরুন বাঙালির রয়েছে বিশাল এক আত্মা বা হৃদয়। ফলে বাঙালি সহজে যুদ্ধবিগ্রহে জড়াতে চায় না। কিন্তু হাজার বছরের ইতিহাসে বাঙালি যতবার স্বাধীনতা-স্বার্বভৌমত্বের জন্য লড়াই করেছে তা বিশ্বের অন্যপ্রান্তে বিরল। আবার প্রতিটি লড়াইয়ে বাঙালির জয়লাভের ইতিহাস আফগান-ইরান অথবা আবিসিনীয় বা নুবীয় জাতিগোষ্ঠীর চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। এই অঞ্চলের নালন্দা ও পাহাড়পুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রাচীন এবং সমৃদ্ধ শিক্ষালয় দুনিয়ার কোনো প্রান্তে দ্বিতীয়টি গড়ে ওঠেনি। ফলে বাঙালির চিন্তায় শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি, অভ্যাসে প্রেম এবং দ্রোহ এবং কর্মে নিপুণতার যেসব মাইলস্টোন রয়েছে তা সার্বিক বিচারে অনন্য-অনবদ্য এবং নজিরবিহীন। সুতরাং সেই বাঙালির মননে নায়ক হিসেবে স্থান পাওয়া যেকোনো মানুষের জন্য পরম সৌভাগ্যের বিষয়।
আজকের শিরোনাম নিয়ে আলোচনা করার আগে আরো একটি বিষয়ের অবতারণা আবশ্যক। বাঙালি সর্বদা পরাশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে জিতেছে। অতীতের সেসব পরাশক্তির তুলনায় নরেন্দ্র মোদির আধিপত্য একেবারেই তুচ্ছ- আর অতীতের পরাশক্তির ডামি বা ছায়াশক্তির তুলনায় বর্তমান ছায়াশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করা কতটা সহজ তার একটি ঐতিহাসিক উদাহরণ পেশ করছি। ২৬১ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে তৎকালীন দুনিয়ার সবচেয়ে বড় সাম্রাজ্যের অধিপতি মহামতি অশোক আমাদের অঞ্চলে অভিযানে স্বয়ং নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সম্রাট অশোক পৃথিবীর সর্বকালের সেরা সম্রাটদের অন্যতম এবং তার সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি ছিল ৫০ লাখ বর্গকিলোমিটার, যা বর্তমান ভারতের চেয়ে পৌনে দুইগুণ বড়। বর্তমান ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যের ঝাড়খণ্ডের আদি নাম ছিল কলিঙ্গ। সম্রাট অশোকের এক ভাই বিপদগ্রস্ত হয়ে কলিঙ্গ রাজ্যে আশ্রয় নিয়েছিলেন। সম্রাট তার ভাইকে ফেরত পাঠানোর অনুরোধ করলে কলিঙ্গরাজ অনন্ত পদ্মনাডন এই বলে সম্রাটের দূতকে ফিরিয়ে দেন যে, আশ্রয়প্রার্থীকে তিনি মরে গেলেও মৃত্যুকূপে ফেরত পাঠাবেন না। মেহমানের জীবন রক্ষা তার পবিত্র দায়িত্ব। ফলে যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে পড়ে।
ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর যুদ্ধগুলোর মধ্যে কলিঙ্গ প্রধানতম। যুদ্ধে উভয়পক্ষের প্রায় দেড় লাখ সৈন্য নিহত হয়। বেসামরিক হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি গণনা করে শেষ করা যাবে না। কলিঙ্গ রাজা নিহত হন-রাজ্য তছনছ হয়ে যায়। কলিঙ্গবাসীর ঈমান দেখে সম্রাট অশোক মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং প্রতিজ্ঞা করেন যে, বাকি জীবনে যুদ্ধবিগ্রহ করবেন না। দেড় লাখ সৈন্যের প্রাণ এবং তাজা রক্তের তেজ সম্রাট অশোককে বিপর্যস্ত করে ফেলে। তিনি বৌদ্ধধর্মে দীক্ষিত হয়ে শান্তি খোঁজার চেষ্টা করেন এবং সারা দুনিয়ায় বৌদ্ধধর্ম প্রচার-প্রসারে বাকি জীবন ব্যয় করেন।
পিটার হাস যদি উল্লিখিত ইতিহাস মূল্যায়ন করেন তবে নিশ্চয়ই তিনি অনুধাবন করতে পারবেন যে, বাঙালির ভালোবাসার স্তর কত উঁচুতে এবং সেই ভালোবাসার জন্য বাঙালি কত বড় আত্মত্যাগ করতে পারে। বিগত দিনগুলোতে যারা পিটার হাসের সাথে ছিলেন, সমর্থন করেছেন এবং নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন তাদের সাহস শক্তি-আত্মত্যাগ কোনো অবস্থাতেই ঐতিহাসিক কলিঙ্গের মহানায়ক রাজা অনন্তের তুলনায় কম নয়।
আমরা আজকের আলোচনার একেবারে প্রান্তসীমায় চলে এসেছি। এবার শিরোনাম প্রসঙ্গে আলোচনা করা যাক। পিটার হাস নিশ্চয়ই নির্দিষ্ট লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন এবং তিনি তার ব্যক্তিগত বুদ্ধিমত্তা এবং জাতীয় চরিত্র ও অভ্যাস দ্বারা পরিচালিত হবেন এটিই স্বাভাবিক। কিন্তু বাংলাদেশে যারা পিটার হাসের পক্ষে বা বিপক্ষে রয়েছেন তারা তো আর মার্কিন অভ্যাস-ঐতিহ্য এবং আচরণ সম্পর্কে অতটা ওয়াকিবহাল নন। ফলে বাংলাদেশের ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের পূর্বাপর ঘটনায় পিটার হাসের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া দেখে বাঙালি মনে এটিই উদয় হবে যে, তিনি পথ হারিয়েছেন নতুবা ভয় পেয়েছেন। অন্য দিকে, পিটার হাস যদি বাঙালির ইতিহাস মূল্যায়ন করতে পারেন তবে নিশ্চয়ই তাকে নিয়ে তৈরি হওয়া আবেগ অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে এমন কিছু করবেন যেন সব পক্ষের কাছে সরাসরি তার অন্তরের বাণী আচরণের মাধ্যমে পৌঁছে যায়।
(অনিবার্য কারণবশত লেখক পবিত্র রমজান মাসে কোনো নিবন্ধ লিখবেন না। রমজানের পর নিয়মিত এই কলাম প্রকাশ পাবে)