Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছে তারা নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায় কি চায় না

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছে তারা নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায় কি চায় না

বাংলাদেশ একটি স্বাধীন, স্বার্বোভৌম ও গণতান্ত্রিক দেশ। এই দেশে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বাস করে। একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে প্রত্যেক পঁণচ বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় নির্বাচন। বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল রয়েছে। বর্তমান ক্ষমতাশীল দল হলো আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি বাংলাদেশের অন্যতম একটি রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিশ্বের অনেক দেশ খুব কাছ পর্যবেক্ষণ করছে। সম্প্রতি জানা গিয়েছে বাংলাদেশের নির্বাচন সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারে না নির্বাচন নিয়ে বিকল্প প্রস্তাব চাই।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমা বিভিন্ন দেশে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে বিএনপি। এসব বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তারা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। বিএনপির নেতারা আরও বলছেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন কখনই স্বাধীন ও স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। বিএনপি নেতারা আরও বলেছেন, বাংলাদেশ ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচন মেনে নিয়েছে। কারণ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছিল। এ কারণেই অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতারা। তবে সম্প্রতি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপির দাবি সমর্থন করে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে বিএনপির অন্তত দুই নেতার সঙ্গে আজ বৈঠকের পর এ বার্তা আসে। যুক্তরাষ্ট্র তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে একটি বিভাজনমূলক রাজনৈতিক সমস্যা বলে মনে করে। যেখানে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিপক্ষে, অন্যদিকে বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে। বিএনপি যেমন বলছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার না হলে নির্বাচন হবে না, তেমনি জনপ্রিয় দল হিসেবে আওয়ামী লীগ বলছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানা সম্ভব নয়। ফলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ইস্যুতে দুই রাজনৈতিক দল একমত হতে পারে না এবং তা অসম্ভব। সেজন্য মধ্যম স্থলে আসার অনুরোধ জানিয়েছে বিএনপি।

যুক্তরাষ্ট্র মনে করে বাংলাদেশের বর্তমান সাংবিধানিক কাঠামোতেই একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব। এই নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনকে সক্রিয়, স্বাধীন এবং অর্পিত ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতায় কোনো সীমাবদ্ধতা থাকলে বা কোনো আইন বা নীতি পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে যুক্তরাষ্ট্র আলোচনা করতে প্রস্তুত বলে মনে করে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি সমর্থন করা সম্ভব নয়। অন্তত দুই বিএনপি নেতার সঙ্গে এই বৈঠকে বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধিরা বিএনপিকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার, ইভিএম, ভোটার তালিকা এবং নির্বাচনের সময় সরকারের ভূমিকা কতটা কমানো যায় সে বিষয়ে স্পষ্ট পরামর্শ দিতে বলেন। বিএনপি বলেছে, তারা মনে করে যদি সরকার নির্বাচনকালীন নিয়মিত দায়িত্ব পালন করে, নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে ক্ষমতা প্রয়োগ করে এবং ভোটার তালিকা সুষ্ঠু হলে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব। ভাল. তাই নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার হলেই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে বলে তারা মনে করেন না। বরং, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে যে ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে দুটি দল পরস্পরবিরোধী অবস্থানে ছিল। এ অবস্থায় তারা নির্বাচন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এটা বিএনপির জন্য বড় ধাক্কা। কারণ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে আন্তর্জাতিক চাপ প্রয়োগ করা উচিত বলে মনে করেছিল বিএনপি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিকে সমর্থন করে না, তখন আন্তর্জাতিক চাপ এখন প্রায় অসম্ভব, বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

প্রসঙ্গত, জাতীয় নির্বাচন যেকোনো দেশের জন্য একটি খুব গুরুত্বপূর্ন বিষয়। কেননা এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচন করা দেশের প্রধান নেতাকে। যিনি তার দক্ষ ও সুবিচক্ষণ বুদ্ধিমত্তা দিয়ে দেশ খুব সুন্দরভাবে পরিচালনা করবে এবং সেই সাথে জনগনের পাশে থেকে তাডের ভাগ্যের সার্বিক উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাবে। দেশের সাধারণ মানুষ চায় প্রত্যেকবারের মত এবারও দেশে অনুষ্ঠিত হবে সুষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন।

About Shafique Hasan

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *