আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য পরিবেশ তৈরি করতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়াবে কি না জানতে চাইলে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের মনোযোগ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের ওপর। নির্বাচনী পরিবেশ। আমরা বাংলাদেশ সরকার, বিরোধী দল, সুশীল সমাজ এবং অন্যান্য অংশীদারদের জনগণের স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানাতে যথাযথভাবে সক্রিয়।’
সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সেই প্রশ্নে বলা হয়, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে সারা বাংলাদেশে বিক্ষোভ চলছে। বিএনপি মহাসচিবসহ আট হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ২৮ অক্টোবরের বিক্ষোভের পর থেকে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচনের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ ও বিশ্বাসযোগ্য পরিবেশ তৈরি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, আপনি (যুক্তরাষ্ট্র) কি সেই পরিবেশ তৈরিতে বাংলাদেশের জনগণের পাশে দাঁড়াবেন? তাদের ইচ্ছা কি নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে প্রতিফলিত হবে?’
প্যাটেল বলেন, “এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না (বিশেষ করে)। আমরা অন্য কোনো দলের ওপর কোনো রাজনৈতিক দলকে (বিশেষ) গুরুত্ব দেই না।”
আরেকটি প্রশ্ন করা হয়েছে, “যুক্তরাষ্ট্র কি বিএনপিকে ‘সহিংসতা বন্ধ করতে’ এবং আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে বলবে?”
জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, “আমরা (মার্কিন) বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিবেশ ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছি এবং যে কোনো সহিংসতার ঘটনাকে খুব গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছি।”
তিনি বলেন, “আমরা বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে সরকার, বিরোধী দল, সুশীল সমাজ এবং অন্যান্য অংশীদারদের একসাথে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা এই কাজ চালিয়ে যাব।