বাংলাদেশের ( Bangladesh ) বিশেষ বাহিনী র্যাবের ( Radhab ) ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত র্যাবের ( Radhab ) ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে নানা ধরনের শর্ত জুড়ে দিয়েছেন। এক কথায় তিনি জানিয়েছেন, র্যাবের ( Radhab ) ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা আপাতত উঠছে না। পিটার হাসের এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ( Dr. ) এ কে আব্দুল মোমেন ( K Abdul Momen ) নাখোশ হন। এবার তিনি পিটার হাসকে ( Peter smiled ) কিছু প্রশ্ন করার জন্য সাংবাদিকদের পরামর্শ দিলেন।
ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হ্যাসকে কী ধরনের প্রশ্ন করা উচিত, সাংবাদিকদের সেই পরামর্শ দিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। আজ (বুধবার) ড. মোমেন সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “অনুগ্রহ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে প্রশ্ন করবেন, কেন তারা তাদের নিজ দেশে এই ধরনের বিচারবহির্ভূত হ/’ত্যাকাণ্ড বন্ধ করতে পারছেন না।” দ্বিতীয়ত, প্রতি বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১,০০,০০০ লোক নিখোঁজ হয় এবং এমনকি শিশুরা তাদের হিস্পানিক পিতামাতার সঙ্গে তাদের পুনর্মিলন থেকে বঞ্চিত হয়।। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তাদের সমস্যার কথা জিজ্ঞেস করুন, বাংলাদেশের বিষয়ে নয়।
তিনি আরও বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র আমাদের দেশের আমাদের এই দেশটির উন্নতি করতে এবং শাসন করতে বাধ্য নয়।” তারা যদি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা চায় তাহলে আরটি টিভি সম্প্রচারে বাধা দিচ্ছে কেন? যদি তারা জবাবদিহিতা চায় তারা কেন প্রতি বছর হাজারের বেশি বেসামরিক মানুষকে হ/’ ত্যা করে? না। আপনারা কেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে প্রশ্ন করেন না, যদি সেখানে নির্বাচন প্রক্রিয়া সুষ্ঠু হয়, তাহলে কেন তরুণ আমেরিকানরা তাদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস করে না এবং তারা খুব কমই ভোট দেয়। প্রতিটি নির্বাচনে তাদের ভোটের সংখ্যা প্রায় ২৫ শতাংশ কেন এটা কি একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রক্রিয়ার প্রতিনিধিত্ব করে?
এর আগে মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে কূটনৈতিক সংবাদদাতা সমিতি, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ডিকাব আলোচনায় অংশ নেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী আরো বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেসব বিষয়গুলো নিজেরা মানতে পারে না, সেগুলো অন্যদের উপর চাপিয়ে দেওয়া নিছক ক্ষমতা দেখানো। যুক্তরাস্ট্রে যে সমস্ত অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে থাকে সেটা নিয়ে ভাবলে তারা বাংলাদেশের র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারত না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পুনরায় বিষয়টি বিবেচনার জন্য আশাবাদও ব্যক্ত করেন মন্ত্রী।