যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় মিয়ানমারের দুটি ব্যাংকের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন না করার পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মিয়ানমারে দুটি ব্যাংক রয়েছে- মিয়ানমার ফরেন ট্রেড ব্যাংক এবং মিয়ানমার ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোকে পাঠানো এক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে এ দুই ব্যাংক থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের মিয়ানমারের দুটি ব্যাংকে ব্যবসায়িক হিসাব রয়েছে। গত ৩ আগস্ট সোনালী ব্যাংকে মিয়ানমারের দুটি ব্যাংকের ব্যবসায়িক হিসাব নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে চিঠি পাঠায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। চিঠিতে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের বরাত দিয়ে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে মিয়ানমারের দুটি ব্যাংক বর্তমানে মার্কিন সরকারের নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। চিঠিতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এরপর সোনালী ব্যাংক হিসাব স্থগিত করে।
২০ আগস্ট সব ব্যাংককে পাঠানো এক চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে যে, মিয়ানমার ফরেন ট্রেড ব্যাংক এবং মিয়ানমার ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ওপর OFAC (অফিস অফ ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল-OFAC আন্ডার ইউএস ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট) নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে তাদের উচিত হবে এই ব্যাংকগুলির সাথে আর্থিক লেনদেন থেকে বিরত থাকা এবং সামগ্রিকভাবে নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে আপ-টু-ডেট তথ্য সংগ্রহ করে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
মূলত, গত ২১ জুন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় এক সার্কুলারে মিয়ানমারের এই দুই ব্যাংকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেয়। মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার বিদেশ থেকে অস্ত্র ও অন্যান্য পণ্য কেনার জন্য এসব ব্যাংক ব্যবহার করে। সে সময় মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের এক বিবৃতিতে বলা হয়, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা রুশ কোম্পানিসহ বিভিন্ন বিদেশি উৎস থেকে অস্ত্র, সরঞ্জাম ও অস্ত্রের কাঁচামাল ক্রয় এবং আমদানি করে। এসব অস্ত্র ব্যবহার করে তারা ‘বর্বর নিপীড়ন’ চালায়।