মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ( United States ) দেওয়া তথ্য অনুসারে, কয়েকবছর আগে নারায়ণগঞ্জে ঘটেছিল র্যাব কর্তৃক আলোচিত ঘটনা। বিষয়টির তৎক্ষণাৎ অথবা পরে কোনো সুরাহা মেলেনি। অনেক গু/ম ও মানুষের প্রাণ নেওয়ার মতো বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে র্যাব বাহিনীর দায় রয়েছে, এমন অভিযোগ উঠে এসেছে। সেই তথ্য ধরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র র্যাবের প্রতি দিয়েছিলো নিষেধাজ্ঞা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়ে চলছে নানান জটিলতা।
ওয়াশিংটন বাংলাদেশকে ইঙ্গিত দিয়েছে এলিট ফোর্স ( Elite force ) র্যাব এর সাবেক সাত কর্মকর্তা ও বর্তমান কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা শিগগিরই প্রত্যাহার করা হবে না।বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ( AK Abdul Momen ) বলেছেন, আন্ডার সেক্রেটারি অব স্টেট ফর পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স ( Secretary State Political Affairs ) ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ডের ঢাকা সফরের সময় এমন আলোচনা হয়েছে।”এটি একটি প্রক্রিয়া, অনেক জটিল প্রক্রিয়া,” তিনি বলেছিলেন। তাই বলার দরকার নেই। তবে তারা এটা নিয়ে কাজ করবে।
তিনি স্টেট ডিপার্টমেন্টে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন যে, এপ্রিলে ( April ) ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের ( Anthony Blinken ) সাথে বৈঠকে তিনি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়েও আলোচনা করবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত তার সঙ্গে কথা বলার পর ১০ ডিসেম্বর ( December ) থেকে র্যাবের ( Radhab ) বিষয়টি উঠে এসেছে। আর সম্প্রতি যে মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি এসেছেন, তিনি এ নিয়ে কথা বলেছেন। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে গত ( Past ) বছরের ১০ ডিসেম্বর ( December ) র্যাবের ( Radhab ) সাবেক মহাপরিচালক ও বর্তমান পুলিশ ( police ) প্রধান বেনজীর আহমেদসহ ( Benazir Ahmed ) সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।
এ সময় বাংলাদেশ সরকার ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এ পদক্ষেপে অসন্তোষ প্রকাশ করে।আন্ডার সেক্রেটারি নুল্যান্ড সম্প্রতি বাংলাদেশ-মার্কিন অংশীদারিত্ব সংলাপে যোগ দিতে ঢাকা সফর করেন। সেখানে র্যাবের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টিও বাংলাদেশের ( Bangladesh ) পক্ষ থেকে তোলা হয়। রবিবার ( Sunday ) সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসা করা হলে, বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তা বলেছিলেন এই নিষেধাজ্ঞা “জটিল এবং কঠিন”। তবে দুই দেশের সরকার এ নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ( AK Abdul Momen ) বলেন, বাংলাদেশে অবস্থানরত মার্কিন চিফের সাথে কথা বলে যেটুকু বুঝলাম, তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আমরা কিছুটা বিভ্রান্তির ভিতরে পড়েছি। বিচার বিভাগ কর্তৃক বিষয়টি আলোচনা করে, তাদের সঙ্গে পুনরায় আলোচনায় বসতে হবে। তারপর দুই দেশের সরকারের বৈঠকের মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা নিষ্পত্তি করা সম্ভব হবে।