সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের সুবাদে গত বছর কয়েক আগে মার্কিন তরুণী এলিজাথের সঙ্গে পরিচয় হয় মিঠুনের। এরপর প্রায় প্রতিদিনই কথা হতো তাদের। আর এরই ধারাবাহিকতায় একটা পর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে তাদের মাঝে। ব্যাস, ২০১৭ সালের জানুয়ারিতেই প্রেমের টানে বাংলাদেশে ছুটে আসেন মার্কিন তরুণী এলিজাথ। প্রথমে তাকে নিয়ে নানা ঝামেলায় পড়তে হচ্ছিল মিঠুনকে। কিন্তু এই মুহুর্তে দাম্পত্য জীবন নিয়ে বেশ ভালই কাটছে তাদের দিন।
প্রতিভাবান মিঠুনের শৈশব কেটেছে কষ্টের মধ্যে। খুলনা আজম খান কমার্স কলেজ থেকে বিবিএ পাস করার পর তিনি চাকরির চেষ্টা করেন কিন্তু ব্যর্থ হন এবং সিঙ্গাপুরে চলে যান।
সেখানে নির্মাণ বিষয়ে বিশেষ কোর্স শেষ করে দেশে ফিরে আসেন। সে সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মার্কিন তরুণী এলিজাবেথের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর দূর থেকেও গভীর বন্ধুত্ব ও পরে গভীর প্রেমে জড়িয়ে পড়েন তারা। কিন্তু কখনো ভাবিনি তাদের দেখা হবে। কিন্তু মাত্র আড়াই মাসের প্রেম হলেও সবাইকে অবাক করে দেন এলিজাবেথ।
হৃদয়ের টানে মিঠুনের বাংলাদেশে ছুটে যান তিনি। তখন সবকিছুই তার অজানা ছিল। তারপরও বাঙালির আতিথেয়তা, আচার ব্যবহার এবং সর্বোপরি প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখে মিঠুনের পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রেমে পড়েন মার্কিন তরুণী। অন্যদিকে প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে উন্নত দেশের তরুণীর ভালোবাসাকে গুরুত্ব দিয়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে আসার পুরস্কার দিয়েছে মিঠুনের পরিবার। উভয়ের ভালোর কথা বিবেচনা করে স্থানীয় ও ধর্মীয় নিয়ম অনুযায়ী তাদের বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
মিঠুনের ছোট ভাই রাজীব বিশ্বাস জানান, তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনিই মধ্যমণি। পলাশ বিশ্বাস সবার বড় এবং মিঠুন সবার ছোট। তাদের পরিবার কৃষির উপর নির্ভরশীল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার ছোট ভাই মিঠুনের প্রেমে পড়ার পর ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে প্রথমবারের মতো এ দেশে আসেন বিদেশি তরুণী এলিজাবেথ। তারপর প্রথমে তারা ঝামেলা ভেবেছিল। তবে সবকিছুর পরে তারা একটি ভাল জিনিস পেয়েছে। কারণ এলিজাবেথও তাদের পরিবারের সদস্য হয়েছিলেন।
এদিকে সংবাদ মাধ্যমকে মিঠুনের বড় ভাই পলাশ জানান, এই মুহুর্তে আমেরিকায় বসবাস করছেন তারা। সেখানে দুজনেই চাকরি করছেন। দাম্পত্য জীবনে বেশ ভালই রয়েছেন তারা।