বাংলাদেশের এলিট বাহিনী র্যাবের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর থেকে সরকার কিছুটা চাপে পড়ে। যার কারনে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কে সামান্য ভাটা পড়লেও এবার বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন পরিলক্ষিত হচ্ছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করেছেন বাংলাদেশে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের বিশেষ উপদেষ্টা ডেরেক শোলে।
বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, আমেরিকা সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়।
বৃহস্পতিবার সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, আমেরিকা সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায়। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর আলোচনা করেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেনের বিশেষ উপদেষ্টা ডেরেক শোলে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। সফরকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
শোলের বাংলাদেশ সফর নিয়ে প্রশ্নের জবাবে আবদুল মোমেন আরও বলেন, আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের বহুমাত্রিক সম্পর্ক, এখানে র্যাবের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি খুবই গৌণ।
মিয়ানমার থেকে আগত শরনার্থী ইস্যুতে আমেরিকা বাংলাদেশকে সাহায্য করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমি আমেরিকাসহ বড় দেশগুলোকে মিয়ানমার থেকে আগত শরণার্থী নিতে অনুরোধ করেছি, অনেকেই ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্র সচিবসহ বেশ কয়েকটি দেশের কূটনীতিকরা বাংলাদেশের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন।
প্রসংগত, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার, অবকাঠামো প্রকল্প, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবায় সহায়তা প্রদান করে আসছে্। উপরন্তু, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশী রপ্তানি, বিশেষ করে পোশাক শিল্পের জন্য একটি প্রধান বাজার। রাজনৈতিক ফ্রন্টে, দুই দেশ সন্ত্রা”/স দমন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং মানবিক ত্রাণ প্রচেষ্টা সহ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যুতে সহযোগিতা করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছে এবং অভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করেছে।