গতকাল সোমবার (১৫ আগস্ট) রাজধানী ঢাকার চকবাজারে পলিথিন কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রাণ হারান ৬ হোটেলকর্মীর। আর তাদের মধ্যে একজন ছিলেন স্বপন সরকার। ভাইয়ের মৃত্যুর খবরে রীতিমতো মানুসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন সজল। হোটেলে প্রতিদিন ৫০০ টাকা মজুরিতে গ্লাস ধোয়ার কাজ করতেন স্বপন। কিন্তু ঢাকায় থেকে, খেয়ে বাসায় তেমন কিছুই পাঠাতে পারতেন না তিনি। আর তাই ওমানে গিয়ে সংসারের হাল ধরার স্বপ্ন ছিল তার।
কিন্তু রাজধানীর চকবাজারের দেবিদাস ঘাট লেনে রবিশাল হোটেলের আগুন তার সেই স্বপ্ন চিরতরে নিভিয়ে দিলো।
ভাইকে হারিয়ে কাঁদছিলেন সজল। কার সাথে ফোনে কথা বলছিলেন তিনি। সে ফোনের এ পাশ থেকে বলছিল, মারে কী জবাব দেব? ভাইয়ের তো মেডিকেল করার ডেট ছিল। আমি শেষ হইয়া গেলাম ভাই। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সজলের সঙ্গে কথা হয় স্বপনের ভাইয়ের। পুরান ঢাকার মিডফোর্ট হাসপাতালের মর্গের সামনে বসে বিলাপ করছিলেন তিনি। সজল বারবার কান্নায় অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছিল। দুই যুবক তাকে সান্ত্বনা দিচ্ছিল।
সজল বলেন, ‘আমার ভাইয়ের ওমানে যাওয়ার কথা ছিল। সব কাগজপত্র হয়ে গেল। আমার ভাই আমাকে বলছিলেন যে তিনি আগামীকাল বা পরশু মেডিকেল করবেন। বাকি শুধু মেডিকেল। কিন্তু সেটা আর করা হলো না।” কথাগুলো বলে আবার কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি।
এদিকে এ বিষয়ে চকবাজার থানার পরিদর্শক শরিফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এরই মধ্যে মৃতদেহ শনাক্ত করছেন স্বজনরা। পুড়ে যাওয়ার কারনে তারা নিশ্চিত না হলে ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার মৃতদেহ স্বজনদের কাছে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।