বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দকৃত কোয়ার্টারে বরিশালের ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আইএইচটি) ছাত্রী আন্তুরা পানুয়ার লাশ পাওয়া গেছে।
অন্তুরা পানুয়া পটুয়াখালীর খলিসাখালী উপজেলার নুক চন্দ্র পানুয়ার মেয়ে এবং আইএইচটি ডেন্টাল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ফজলুল করিম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। তার কক্ষ ভিতর থেকে আটকানো ছিল। গলায় ফাঁস লাগা অবস্থায় ঝুলছিল। তবে কোনো অভিযোগ থাকলে অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে।
জানা গেছে, আগে চেষ্টা করেও আসন সংকটের কারণে ছাত্রী নিবাসে উঠতে পারেননি অন্তরা পানুয়া। গত রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) আইএইচটি প্রশিক্ষকের মাধ্যমে কোরাতার তৃতীয় শ্রেণির একটি কক্ষে যান। রাতে অন্তরা রুমে একা ছিল।
কোতয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল ইসলাম জানান, আইএইচটি’র একটি কক্ষে ঝুলন্ত লাশের খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে এসে কক্ষের দরজা ভেঙে মর্গে পাঠায়। পোস্টমর্টেমের জন্য। সুরথল রিপোর্ট তৈরি হয়। এটি আত্মহত্যা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
বেশ কয়েকটি সূত্র বলছে, আইএইচটির এক শিক্ষকের সঙ্গে সর্ম্পকে জড়িয়েছিলেন মারা যাওয়া শিক্ষার্থী। সেখানে সুখী না থাকায় আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
আইএইচটির অধ্যক্ষ মানষ কৃষ্ণ কুন্ড বলেন, হাসপাতালের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের কোয়ার্টার শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় না। কিন্তু ওই শিক্ষার্থী কীভাবে সেখানে গেলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর সঙ্গে কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।